পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রত একটি কারগারে হামলা হয়েছে। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন এবং কারাগারটি থেকে পালিয়ে গেছেন ১ হাজার ৮৯০ জন বন্দি।
রোববার ভোরের দিকে ঘটেছে এই হামলার ঘটনা। সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদাবায়ো হামলার জন্য সেনা বাহিনীর ‘বিপথগামী’ সেনাদের দায়ী করেছেন।
সিয়েরা লিওনের সেনা বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল ইসা বানগুরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১৩ জন সেনা সদস্য, ৩ জন হামলাকারী বিদ্রোহী সেনা, একজন পুলিশ কর্মকর্তা, একজন বেসামরিক এবং একজন বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও আট জন এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিন জন হামলাকারী সেনাকে।
যে কারাগারটিতে হামলা হয়েছে, সেটি রাজধানী ফ্রিটাউনের কাছেই। সিয়েরা লিওনের সেনা বাহিনী কারাগারটি পরিচালনা করত।
কর্নেল বানগুরা জানান, হামলার আগে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন বিদ্রোহী সেনারা। পরে আর্মি ট্রাকে চেপে কারাগারের প্রধান ফটক ভেঙে সেখানে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গোলাগুলি ছোড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সেলের ফটক ভেঙে দেন।
সোমবার সরেজমিনে কারাগারটি পরিদর্শন করেছে রয়টার্স। দেখা গেছে সেখানকার প্রায় সব দরজা ও ফটক ভাঙা, কারাগারের এখানে সেখানে পড়ে আছে কংক্রিটের আবর্জনা।
রোববারের হামলার পর দেশজুড়ে কারফিউ জারি করেছিল সিয়েরা লিওনের সরকার। সোমবার থেকে তাও শিথিল করা হয়েছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদাবায়ো জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্তে সেনা ও পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে এবং দলটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে।
‘গত কয়েক ঘণ্টায় কয়েক জন বিদ্রোহী সেনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে,’ বিবৃতিতে বলেন প্রেসিডেন্ট।
সূত্র : রয়টার্স