সিয়েরা লিওনে সেনাছাউনি ও কারাগারে হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩ জন সেনা রয়েছেন।
গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন, রাজধানী ফ্রিটাউনে গত রোববার বিদ্রোহী সেনারা দিনভর হামলা চালিয়েছেন। তবে পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
কর্নেল ইসা বানগুরা বলেছেন, ‘সহিংস হামলায় বর্তমান ও সাবেক যে সেনারা জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবাইকে আমরা খুঁজছি।’
বানগুরা আরও বলেন, নিহত ২০ জনের মধ্যে ১৩ জন সেনা। তিনজন হামলাকারী, একজন পুলিশ কর্মকর্তা, একজন বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া ব্যক্তিমালিকানাধীন নিরাপত্তা সংস্থায় কর্মরত একজন রয়েছেন। এসব সহিংসতায় আটজন আহত হয়েছেন। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, পাডেমবা রোড কেন্দ্রীয় কারাগারে হামলার পর প্রায় ১ হাজার ৮৯০ বন্দী পালিয়ে গেছেন। যাঁরা পালিয়ে গেছেন, তাঁদের কারাগারে ফিরে আসতে আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।
রয়টার্সের খবরে আরও বলা হয়েছে, কারাগার পরিদর্শনের সময় গতকাল সোমবার একজন কারাকক্ষের দরজা খোলা দেখেছেন। সিয়েরা লিওন সংশোধনাগার সংস্থার মহাপরিচালক কর্নেল শেখ সোলাইমান মাসাকুই বলেন, হামলাকারীরা একটি রকেট লঞ্চার দিয়ে প্রথমে কারাফটক ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। পরে তাঁরা সামনের ফটক দিয়ে ঢুকেছিলেন।
গত রোববার প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাডা বায়ো বলেন, এই সহিংস হামলার সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ সামরিক নেতাদের আটক করা হয়েছে। অন্যদেরও ধরার চেষ্টা চলছে।
সিয়েরা লিওনের তথ্যমন্ত্রী চেরনর বাহ গত রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
বানগুরা বলেন, সেনাবাহিনীর বেশির ভাগ সদস্য সরকার ও প্রেসিডেন্টের প্রতি অনুগত নয়। তাঁরা যত দ্রুত সম্ভব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে চান বলেও জানান বানগুরা।
ফ্রিটাউনে সেনাছাউনিতে বন্দুকধারীদের হামলা ও একটি অস্ত্রাগারে লুটের চেষ্টার ঘটনার পর গত রোববার সিয়েরা লিওনজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়।