পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সিরিয়াকে আরেক সৌদি আরবে পরিণত করার পরিকল্পনা করছেন দেশটির বিদ্রোহী সংগঠন হায়াত তাহরির আল শামের (এইচটিএস) প্রধান আহমেদ আল শারা ওরফে আবু মোহাম্মদ জোলানি। একইসঙ্গে আসাদের পতনের পর ইরান বেকায়দায় থাকায় মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাশার আল আসাদের পতনের মধ্য দিয়ে সিরিয়ার নতুন সূচনার পথ তৈরি করেছে বিদ্রোহী সংগঠন হায়াত তাহরির আল শাম। সিরিয়াকে আরেক সৌদি আরবে পরিণত করার স্বপ্ন দেখছেন আহমেদ আল শারা ওরফে আবু মোহাম্মদ জোলানি। যুদ্ধ-বিগ্রহের কালো অধ্যায়ের যুগ দামেস্কে আর কখনোই ফিরে আসবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন এই ডি ফ্যাক্টো নেতা।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম আশারক আল আওসাতকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, আসাদের পতনের মধ্যে দিয়ে ইরান বিপদে পড়েছে। তেহরান সিরিয়ার ভূমিকে ব্যবহার করে আরবের বিভিন্ন দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। আর এ কারণেই মধ্যপ্রাচ্যে আবার নতুন করে স্থিতিশীলতা ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
নতুন সিরিয়ার শাসনভার এখন অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে থাকলেও দেশের সব সিদ্ধান্তের কেন্দ্রবিন্দুতে এইচটিএস। এ কারণে পালিয়ে যাওয়া আসাদ সরকারের রেখে যাওয়া সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তাকর্মীরা এইচটিএসের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করেন। সিরিয়ার ডি ফ্যাক্টো ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার উদ্দেশ্যেই আসাদবাহিনীর এমন পদক্ষেপ বলে জানান তারা।
এদিকে, স্থানীয় সময় শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তুরস্কের ড্রোন হামলায় নারীসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। একইদিনে, সিরিয়ার কোবানি শহরে এক গমের গুদামে তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহীরা ড্রোন হামলা চালায় বলে দাবি করেছে মার্কিন সমর্থিত কুর্দি গোষ্ঠী।
এদিকে বর্তমানে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৫০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা ইসরাইলের দখলে বলে জানিয়েছে এক ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম। হার্মন পর্বত ও কুইনেত্রা শহরের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে সরিয়ে অবস্থান নিয়েছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী।
ইসরাইলি গণমাধ্যম জানায়, নেতানিয়াহুর সেনারা দীর্ঘ সময়ের জন্য সিরিয়ায় অবস্থান করবেন। নতুন সিরিয়ায় স্বাধীনতার আনন্দের মধ্যে ইসরাইলি সেনাদের অবস্থান জনগণের মধ্যে শংকার জন্ম দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।