পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সিরিয়ায় বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাত নিয়ে মাথা ঘামাবে না যুক্তরাষ্ট্র। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই যুদ্ধ আমাদের নয়।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কেরর দিকে সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শাস (এইচটিএস) ও আরও কয়েকটি গোষ্ঠী। উত্তরাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর আলেপ্পো, হামা, হোমস ও দারা দখলে নেয়ার দাবি করেছে তারা। এদিকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এখন কী করবেন, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্টরাও রয়েছে। এছাড়া রয়েছে তুরস্কের সমর্থন পাওয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠীও। বাশার সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে রাশিয়া ও ইরান। বেশ কয়েকটি ফ্রন্টে বিদ্রোহী ও ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে।
সিরিয়ায় ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ শহর নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর দামেস্ক শহর ঘিরতে শুরু করার দাবি করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। এ পরিস্থিতিতে সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া, ইরান, কাতার ও তুরস্ক।
এর মধ্যে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে সিরিয়া নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প। বলেন, ‘সিরিয়া একটি বিশৃঙ্খল রাষ্ট্র। দেশটি আমাদের বন্ধু নয়।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু করার নেই। এটা আমাদের লড়াই নয়। যা ঘটছে, ঘটুক। এর মধ্যে জড়ানোর দরকার নেই।’
গত ২৭ নভেম্বর হায়াত তাহরির আল শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো সরকারি বাহিনীর ওপর আকস্মিক হামলা শুরু করে। আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সংগঠন থেকে বের হয়ে এইচটিএস গঠিত হয়।
এইচটিএসের নেতৃত্বে ঘটনার আকস্মিকতায় দৃশ্যত অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে সরকারি বাহিনী। গত সপ্তাহে দ্রুতগতিতে সামরিক অভিযান চালিয়ে আলেপ্পো দখল করে নেয় এইচটিএস। লেবাননে হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়ার পরপরই এ ঘটনা ঘটে। হিজবুল্লাহ আসাদের মিত্র হিসেবে পরিচিত।
উত্তরাঞ্চলের আলেপ্পো দখলের পর বিদ্রোহীরা মধ্যাঞ্চলের হামা শহরের দিকে যাত্রা শুরু করে। গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) তারা হামা দখলে নেয়। শহরটিতে দশ লাখের বেশি মানুষের বসবাস।
শনিবার হোমস ও দারা দখলের দাবি করা হয়েছে। দারার দখল নেয়ার মধ্য দিয়ে আসাদ সরকারের ক্ষমতা হুমকিতে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।