পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সুদানে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে গুলি চালিয়েছে সে দেশের সেনাবাহিনী। এতে অন্তত সাতজনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং আরো ১৪০ জন আহত হয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ করে হাজার হাজার মানুষ। সে দেশের রাজধানী খারতুমে বিক্ষোভরতদের ওপর সেনাবাহিনী গুলি চালিয়েছে।
সুদানের একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, সেনাবাহিনীর গুলিতে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১৪০ জন।
এদিকে সুদানের সেনাবাহিনীর নেতা সে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সার্বভৌম কাউন্সিল ও সরকার ভেঙে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে সুদানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
সুদানের গণতান্ত্রিক অগ্রগতির জন্য এই ঘটনা বড় ধরনের ধাক্কা। দেশটির প্রধানমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রীকে আটকের পর সেনা প্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এক ঘোষণায় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।
সুদানের সামরিক নেতা আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান বলেছেন, বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে ২০১৯ সালে যে চুক্তি হয়েছিল, তা সুদানের শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গতকাল সোমবার অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদককে গৃহবন্দি করা হয়। জানা গেছে, সোমবার ভোরে সেনাবাহিনীর অজ্ঞাত একটি ফোর্স তার বাড়ি ঘিরে ফেলে। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের অজ্ঞাতস্থানে রাখা হয়।
সে দেশের সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার বিষয়টি জনগণ মেনে নেয়নি। তারা এর বিরোধিতা করে রাজপথে বিক্ষোভ করছেন।
সুদানে সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদকসহ অন্যান্য বেসামরিক বন্দি নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘে নিযুক্ত সুদানের বিশেষ দূত ভোলকার পার্থস বলেন, যাদের বেআইনিভাবে আটক বা গৃহবন্দি করা হয়েছে তাদের দ্রুত ছেড়ে দিন।
সূত্র: এএনআই