সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশের উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী

সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশের উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদের ৪৫তম বর্ধিত সভায় সুন্দরবন রক্ষায় এক দশকে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করা হয়েছে। সভায় পরিকল্পিত বনায়নের মাধ্যমে কার্যকর সংরক্ষণ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সুন্দরবন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের সম্পদের সুরক্ষা বৃদ্ধির জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানানো হয়।

আজ বুধবার বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা হিসেবে সুন্দরবনের সুরক্ষা ও উন্নয়নে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও সফলতার বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশসচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানম প্রমুখ।

শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সরকার ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃত সুন্দরবনের সুরক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করছে। এর ফলস্বরূপ সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদের সভায় সুন্দরবন রক্ষায় সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সুন্দরবনের আউটস্ট্যান্ডিং ইউনিভার্সাল ভ্যালুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্টে আলট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল থার্মাল টেকনোলজি ব্যবহার, সরকারের পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান-২০১০ সংশোধন ইত্যাদি পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়েছে। ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনের অংশ হিসেবে ছয়টি কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

সুন্দরবনের ওপর উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রভাব নিরসনের লক্ষ্যে ২০২১ সালে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের স্ট্র্যাটেজিক এনভায়রনমেন্টাল অ্যাসেসমেন্ট করা হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এর আলোকে স্ট্র্যাটেজিক এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান প্রস্তুত করায় ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে।

করোনার কঠিন সময়ে ন্যাশনাল অয়েল অ্যান্ড কেমিক্যাল স্পিল কন্টিনজেন্সি প্ল্যান-২০২০ গ্রহণ এবং জরুরি পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব দূর করতে এটির বাস্তবায়নের জন্য কমিটি সভায় বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়। ভারত ও বাংলাদেশ অংশে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উজানে যৌথ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রমকে স্বাগত জানানো হয়েছে। এই কার্যক্রম আরো জোরদার করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *