সুপ্রিমকোর্টে ফের ইমরান খানের সাজা বাতিলের আবেদন

সুপ্রিমকোর্টে ফের ইমরান খানের সাজা বাতিলের আবেদন

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আদালতের রায়ে সাজা হওয়ায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার চেষ্টায় আছেন ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী এ অধিনায়ক। তাই এবার ওই রায়ের বিরুদ্ধে প্রথমে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ও পরে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।

তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দেয়া ৩ বছরের সাজা বাতিলে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবীরা সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার অফিসের উত্থাপিত আপত্তি সংশোধন করার পর আপিলের ফাইল ফের জমা দিয়েছেন।

বুধবার প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন জমা দেন ইমরান খানের আইনজীবী। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ২৩ ডিসেম্বর তোশাখানা মামলায় ‘প্রয়োজনীয় শর্ত’ পূরণ না হওয়ায় আবেদন ফেরত পাঠিয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় রাষ্ট্রীয় সংরক্ষণাগারে থাকা বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া উপহার বিক্রির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন ইমরান খান। গত ৫ আগস্ট এই মামলায় ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। দোষী সাব্যস্ত ও কারাদণ্ড হওয়ায় ইমরানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।

গত ১১ ডিসেম্বর সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ইমরান খানের আইনজীবী সরদার লতিফ খোসা পাকিস্তানি সংবিধানের ১৮৫ অনুচ্ছেদের আওতায় এই আবেদন করেন। এ সময় রেজিস্ট্রার জানান, আবেদনটি অসম্পূর্ণ। এর আগে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে একই আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এপ্রিলে দেশটির পার্লামেন্টে বিরোধী দলগুলোর আনা অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান খান। এরপর তার বিরুদ্ধে একে একে শতাধিক মামলা করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস ও দুর্নীতিসহ বেশ কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ইমরান এখন রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

ইমরান খান ও তার দলের দাবি, ক্ষমতাসীন সরকার ও সেনাবাহিনীর চক্রান্তে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার বিরুদ্ধে এসব মামলা হয়েছে, যাতে তিনি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *