সেন্টার উইকেটে তামিম-লিটনের আগ্রাসন

সেন্টার উইকেটে তামিম-লিটনের আগ্রাসন

সেন্টার উইকেটে তামিম-লিটনের আগ্রাসন

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সকাল সকাল হোম অব ক্রিকেটে মিরপুর শের-ই-বাংলায় যেতেই ব্যতিক্রমী একটি দৃশ্যে চোখ আটকে গেল। জাতীয় একাডেমির মাঠের উইকেটে নেট বসানো হচ্ছে। একটি দুটি নয়, পাশাপাশি তিনটি উইকেটে তিনটি নেট। দেখতে দেখতে ১ নং গেইটের প্লাজা ধরে একটু এগিয়ে শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ডের গ্যালারিতে যেতেই চক্ষুচড়কগাছ, একি! শের-ই-বাংলার সেন্টার উইকেটে নেট! এবং সেখানে একজন ব্যাটিংও করছেন! কে? মোহাম্মদ মিঠুন? না, আরেকটু কাছে যেতেই নিশ্চিত হওয়া গেল-মুশফিকুর রহিম।

ভেন্যুর ডান দিক থেকে ৩ নম্বর উইকেটে পাঁচজন নেট বোলার ও তাইজুল ইসলাম মুশফিককে বল করছেন, আর তিনি তা মোকাবিলা করছেন। অবশ্য খুব স্বাচ্ছন্দে যে ব্যাটিং করেছেন তা কিন্তু নয়। করোনায় লম্বা বিরতি থেকে ফিরে শের-ই-বাংলার ন্যাচারাল টার্ফে কিছুটা নড়বড়েই মনে হয়েছে। শটসের বৈচিত্র্য ততটা চোখে পড়েনি। বোলারদের হাত থেকে আসা সিংহভাগ বলই রক্ষণাত্মক খেলতে হয়েছে। আরো সহজ করে বললে স্রেফ নক করে গিয়েছেন।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ব্যাটিং শেষে চলে গেলেন মুশফিক। তিনি শেষ করার প্রায় ঘণ্টাবাদে এলেন লিটন দাস। এসেই শুরু করলেন আগ্রাসী ব্যাটিং। নেট বোলারদের বলগুলো ব্যাটে ডিফ্লেক্ট হতেই শপাৎ পশাৎ ধ্বণিতে মুখরিত হয়ে উঠছিল গোটা হোম অব ক্রিকেটের চত্বর। দেখে একবারও মনে হয়নি করোনা অতিমারির কারণে প্রায় ছয় মাস ব্যাটিংয়ের সঙ্গে কোনো সম্পর্কই ছিল না। যতক্ষণ ব্যাটিং করেছেন, দুর্দান্ত দাপটে। নেট বোলারদের সিংহভাগ বলই গিয়ে পড়েছে সীমানায় ও সীমানার বাইরে।

লিটনের শেষ হতেই শুরু করলেন তামিম ইকবাল। একই স্টাইলে প্রায় ঘণ্টা অবধি ব্যাটিং করে গেলেন দেশসেরা এই রান সংগ্রহক। পুরো সেশন জুড়েই ছিল তার শটসের সমাহার। নেটে শফিউল ইসলাম ও আল আমিন হোসেনের প্রতিটি বলই মোকাবিলা করেছেন প্রবল বিক্রমে। কী খেলেননি? ড্রাইভ, কাট, পুল, হুক। যেন চিরচেনা উইকেটে ফিরে অনুশীলনেও ‘খুনে’ হয়ে উঠেছিলেন ক্ল্যাসিক এই ওপেনারের ব্যাট!

সোমবার (৩১ আগস্ট) সেন্টার উইকেটে দিনের শুরুটা অবশ্য করেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সোয়া ৯টা অবধি নিজেকে ফিরে পাওয়ার মিশনে ব্যাটিং করে গেছেন এই মিডল অর্ডার। দুপুর ১টা নাগাদ তামিমের ব্যাটিং শেষ হতেই একে একে এসেছেন; মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকার।

করোনাকালে গত ১৯ জুলাই ক্রিকেটারদের একক অনুশীলন শুরুর পর গত শনিবার চতুর্থ ধাপের শেষ দিন পর্যন্ত পর্যন্ত শের-ই-বাংলায় শুধুই রানিং, জিম ও ইনডোর ব্যাটিংয়ে ঘাম ঝরিয়েছেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু সোমবার থেকে শুরু হলো তাদের সেন্টার উইকেটে ব্যাটিং, যেখানে লম্বা বিরতিতে বোলিংয়ের সুযোগ পেলেন টাইগার বোলারাও। আর এর মধ্য দিয়েই লঙ্কা সিরিজের প্রস্তুতিটা আরো বেগবান হলো।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *