সেমিফাইনালে আবাহনী

সেমিফাইনালে আবাহনী

স্পোর্টস রিপোর্ট ● লড়াইটা হয়েছে সমানে সমান। শুধু বল পজিশনেই এগিয়ে ছিল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। সবুজ গালিচার লড়াইয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়নও ছিল দুর্দান্ত। কিন্তু ৯০ মিনিটের লড়াই শেষে স্বস্তির নিঃশ্বাসটা ফেলেছে আকাশি-নীল জার্সিধারীরাই। ফেডারেশন কাপের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার আবাহনী ২-১ গোলে ব্রাদার্সকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে। ৩ জুন প্রথম সেমিফাইনালে শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাবের বিপক্ষে লড়বে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

কী দারুণ মিল। গতবারের পুনরাবৃত্তি এবার। ফেডারেশন কাপের গত মৌসুমেও কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল আবাহনী ও ব্রাদার্স। কাকতলীয়ভাবে ফল একই; ২-১। এবার প্রতিশোধ নেওয়ার মিশনে নামে গোপীবাগের ক্লাবটি। কিন্তু আবাহনীর সঙ্গে পেরে ওঠেনি। তাই শেষ আটেই থেমে গেল ব্রাদার্সের যাত্রা। তবে দ্রাগো মামিচের দলকে খুব সহজে জিততে দেয়নি ব্রাদার্স। আক্রমণে এগিয়ে ছিল আবাহনী। পাল্টা আক্রমণে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের রক্ষণভাগে কাঁপন ধরিয়ে দেয় ব্রাদার্স। তাদের সব আক্রমণ আবাহনীর বক্সের সামনে গেলেই নষ্ট হয়ে যায়। বিপরীতে আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে দারুণভাবে। যে কয়েকটি আক্রমণ করেছে তাতে আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত ফেডারেশন কাপে নয়বারের চ্যাম্পিয়নরা।

ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে আবাহনী। কম যায়নি ব্রাদার্সও। ম্যাচের ১১ মিনিটে বক্সে ঢুকে শট নেন ব্রাদার্সের বিদেশি ফরোয়ার্ড সিও জোনাপিও। কিন্তু বল ফিরিয়ে দিয়েছেন আবাহনীর ডিফেন্ডাররা। ২৪ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় আবাহনী। বাঁ প্রান্ত দিয়ে ঢুকে বক্সে বল ফেলেছিলেন আবাহনী অধিনায়ক মামুন মিয়া। প্রায় ফাঁকা পোস্টে বলটা ঠেলে দিতে পারলেই নিশ্চিত গোল হতে পারত; কিন্তু আবাহনীর কোনো ফুটবলার বলের নাগালই পাননি। তার আগেই বল সরিয়ে দিয়েছেন ব্রাদার্সের রক্ষণভাগের এক খেলোয়াড়। ৩০ মিনিটে আবাহনীর জালে বল পাঠিয়েছিলেন সিও জোনাপিও। কিন্তু তার আগেই আবাহনীর এক ফুটবলারকে বক্সে ফেলে দিয়ে বল নিয়ে ঢুকেছিলেন এই ফুটবলার। রেফারি তখনই ফাউলের বাঁশি বাজিয়েছিলেন। তাই বাতিল হয়ে যায় ব্রাদার্সের গোল। ১২ মিনিট পরই গোলের উল্লাসে মেতে ওঠে আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে সোহেল রানার পাসে বক্সে বল পেয়ে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে বল জালে পাঠান আবাহনীর ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াজ জীবন। ৮০ মিনি বাঁ প্রান্ত থেকে রুবেল মিয়ার শট ডিফেন্ডার আকরামুজ্জামান লিটনের পায়ে লেগে চলে যায় ব্রাদার্সের জালে। ৮৯ মিনিটে আবাহনীর বক্সের কাছে ফ্রি কিক পায় ব্রাদার্স। তা থেকে একটি গোল পরিশোধ করেন ব্রাদার্সের জোনাপিও।

তবে খুব দেরি করে ফেলেছেন ব্রাদার্সের খেলোয়াড়রা। কারণ একটু পরই রেফারি শেষ বাঁশি বাজালে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে গোপীবাগের দলকে। আর শেষ চারে ওঠার আনন্দে মেতে ওঠে আবাহনী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *