সের্গেই শোইগু ও রুশ সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

সের্গেই শোইগু ও রুশ সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : রাশিয়ার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং সেনাপ্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। ইউক্রেন যুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মঙ্গলবার এ পরোয়ানা জারি করা হয়।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ সেনা প্রবেশের পর থেকে এখন পর্যন্ত আটজন রুশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল আইসিসি। এর আগে ইউক্রেনীয় শিশুদের রাশিয়ায় নির্বাসনের অভিযোগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।

আদালতের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ইউক্রেন। তবে মস্কো একে আইনত অর্থহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

হেগ-ভিত্তিক আদালত জানিয়েছে, ইউক্রেনে বেসামরিক নাগরিক ও স্থাপনার ওপর হামলার নির্দেশনার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে শোইগু এবং গেরাসিমভের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ৯ মার্চ পর্যন্ত ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোর ওপর রুশ সশস্ত্র বাহিনীর চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য দুই সন্দেহভাজন দায়ী, এমন বিশ্বাসের যুক্তিসঙ্গত কারণ পেয়েছেন বিচারকরা।

আইসিসির সদস্য নয় রাশিয়া। দেশটি বারবার বলেছে যে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো একটি বৈধ সামরিক লক্ষ্যবস্তু। বেসামরিক নাগরিক বা বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করার কথা তারা অস্বীকার করেছে।

ইউক্রেনও আইসিসির সদস্য নয়। তবে দেশটি ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে তার ভূখণ্ডে সংঘটিত অপরাধের বিচারের জন্য আইসিসিকে এখতিয়ার দিয়েছে।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এই হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি অপরাধীকে জানতে হবে যে, বিচার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এবং আমরা তাদেরকে কারাগারে দেখতে চাই।’

রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদ জানিয়েছে, আদালতের পদক্ষেপ মস্কোর বিরুদ্ধে এক ধরনের হাইব্রিড যুদ্ধের অংশ।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসকে উদ্ধৃত করে পরিষদ বলেছে, ‘এটি শুধুই বাতাসে গুলি ছোঁড়া। কারণ আইসিসির এখতিয়ার রাশিয়ার ওপর প্রসারিত নয় এবং আমাদের দেশের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের হাইব্রিড যুদ্ধের অংশ হিসেবেই এটি করা হয়েছে।’

পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী

শোইগু পুতিনের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। গত মাসে তাকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং রাশিয়ার ক্ষমতাধর নিরাপত্তা পরিষদের সচিব নিযুক্ত করা হয়। ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে পুতিনের সামরিক নেতৃত্বে এটিই সবচেয়ে বড় রদবদল।

সূত্র: তাস

Related Articles