সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করতে পারবে ইসলামী আন্দোলন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করতে পারবে ইসলামী আন্দোলন

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ২০টি শর্ত জুড়ে দিয়ে আগামী শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে মহাসমাবেশ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

বুধবার (১ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনারের পক্ষে বিশেষ সহকারী মোহাম্মদ নাজমুর রায়হানের সই করা লিখিত স্মারকে এ তথ্য জানানো হয়।

ডিএমপির শর্তে বলা হয়, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০ শর্ত যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে ৩ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো।

শর্তগুলো হলো-

১. এ অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রের উল্লেখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

৩. অনুমতি পাওয়া স্থানের মধ্যেই সমাবেশের সব কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

৪. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।

৫. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলে আগতদের হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

৬ অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।

৭. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময়ে মাইক ব্যবহার করা যাবে না।

৮. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে- এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।

৯. আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সমাবেশে বক্তব্য প্রদান বা তার কোনো বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না।

১০. সমাবেশ শুরুর দুই ঘণ্টা পূর্বে লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে।

১১. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে।

১২. পথের মধ্যে রাস্তার কোথাও কোনো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বা অবস্থান করা যাবে না।

১৩. মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।

১৪. আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।

১৫. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য দেওয়া যাবে না।

১৬. উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

১৭. সমাবেশে ব্যানারের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠিসোটা বা রড সদৃশ কোনো বস্তু ব্যবহার করা যাবে না।

১৮. আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।

১৯. উল্লেখিত শর্ত যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

২০. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই এই অনুমতির আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *