সোহেল হত্যা: ১০ বছর পর ৫ জনের ফাঁসির রায়

সোহেল হত্যা: ১০ বছর পর ৫ জনের ফাঁসির রায়

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ঢাকার ধামরাইয়ের সেই বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর সোহেল খান হত্যা মামলায় ৫ আসামির ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। বুধবার বিকালে ঢাকাস্থ ধামরাই ২য় যুগ্ম ও অতিরিক্ত জজ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত যুগ্ম জজ ইশরাত জাহান।

মামলার বিবরণে প্রকাশ, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলার ডাউটিয়া গ্রামের মো. আব্দুল লতিব খান ওরফে আকালীর ছেলে মো, সোহেল হোসেন খানকে প্রতিবেশী আব্দুস সামাদের স্ত্রী শিল্পী আক্তার স্বপ্নার ঘরে আটকে রেখে উপর্যুপরি কুপিয়ে খুন করে। পরে লাশ বস্তায় করে সোমভাগ ইউনিয়ন কাউন্সিলের পাশে একটি পুকুরে ফেলে দেয়।

সোহেলের বড়ভাই মো. সোহরাব হোসেন খান বাদী হয়ে ধামরাই থানায় শিল্পী আক্তার স্বপ্না, মো. নুরুল ইসলাম নুরুল, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. আব্দুল মজিদ ও মো. সুমন হোসেনকে বিবাদী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটির তদন্ত শেষে এজাহারভুক্ত ৪ জনকে বাদ দিয়ে শিল্পী আক্তার স্বপ্নার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই খোন্দকার মো. ইমাম হোসেন।

বাদী চার্জশিটের বিপরীতে আদালতে নারাজি দাখিল করেন। আদালত অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। মামলাটি তদন্ত করে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এসআই মো. শামসুল আলম এজাহারভুক্ত ওই ৫ জনের বিরুদ্ধেই আদালতে পুনরায় চার্জশিট দাখিল করেন।

এদিকে ৫ আসামিই জামিনে থাকাবস্থায় ১৮ মার্চ আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে নুরুল ইসলাম নুরুল ও সুমন হোসেন কাঠগড়া থেকে পালিয়ে গিয়ে অদ্যাবধি আত্মগোপনে রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

বুধবার জামিনে থাকা তিন আসামি আদালতে উপস্থিত থাকাবস্থায় এ মামলাটির আদেশ দেয়া হয়। তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বাদী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এহসানুল হক সামাজি, সরকারি পিপি আনন্দ চন্দ্র বিশ্বাস। আসামিপক্ষে ছিলেন মো. আবদুল গণি টিটু।

মো. এহসানুল হক বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। আদালতের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। এভাবে যদি সব হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার বাস্তবায়ন হয় তাহলে সহসা কেউ এমন হত্যাকাণ্ড ঘটাতে কেউ সাহস পাবে না।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আব্দুল গলি টিটু বলেন, আমরা রায়ে সন্তুষ্ট নই। এ ব্যাপারে আমরা খুব শিগগিরই আপিল করব।

বাদী মো. সোহরাব হোসেন খান বলেন, আমি আদালতের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি রায়ে সন্তুষ্ট।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *