পাথেয় টোয়েন্টিফোর : ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাহিত জীবন নিয়ে গণমাধ্যমের আলোচনায় মোটেই সন্তুষ্ট নন ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। প্রবল শক্তিধর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পত্নী মানসিক বিষাদেই ভুগছেন একরকম। গণমাধ্যমের অহেতুক আলোচনায় তিনি অসন্তুষ্ট।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিতর্ক ডোনাল্ড ট্রাম্পের পিছু নিয়েছে। যেন বিতর্কের সঙ্গে জড়িয়েই গেছে একরকম। নারী কেলেঙ্কারিসহ তার বিরুদ্ধে উঠেছে বিভিন্ন অভিযোগ। বেশীরভাগ সময়ই নেগেটিভ বিষয় দ্বারা অালোচনায় থঅকেন তিনি একজন প্রেসিডেন্ট নয় বরং তার ব্যাক্তি জীবন নিয়েই জলঘোলা হয়েছে বেশী। তবে এসব অভিযোগ নিয়ে বিরুপ মন্তব্যও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবার এসব মুখ খুলেছেন ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া।
এবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তিনি বেশ সুখেই আছেন। স্বামীকে তিনি ভালোবাসেন। স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের আলোচনা নিয়ে তাঁর কোনো মাথাব্যথা নেই। এসব নিয়ে তার কোনো সমস্যা নেই।
মেলানিয়া বলেন, যেসব নারী যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনেন, তাঁদের অবশ্যই শক্ত প্রমাণ দেখানো দরকার।
গত বৃহস্পতিবারে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন মেলানিয়া ট্রাম্প। স্টর্মি ড্যানিয়েল ও সাবেক প্লেবয় মডেল কারেন ম্যাকডোগাল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে যৌন নির্যাতন ও সম্পর্কের অভিযোগ করেছেন, তা উড়িয়ে দেন তিনি। তিনি তা অসত্য বলে উল্লেখ করেন।
মেলানিয়া ট্রাম্প বলেন, তিনি স্বামী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভালোবাসেন। তাঁদের উভয়ের সম্পর্ক সুন্দর। তাঁরা একে অপরকে ভালোবাসেন। কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে গণমাধ্যমের কাভারেজ সব সময় সঠিক নয়। অনেক সময়ই ভুল তথ্য প্রকাশ করে উত্তেজনা সৃষ্টি করে বলেও জানান তিনি।
মেলানিয়া বলেন, ‘আমি জানি, কোনটা সত্যি আর কোনটা সত্যি নয়। আমি একজন মা ও একজন ফার্স্ট লেডি। এগুলো ছাড়াও আমার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে।’ গত সপ্তাহে আফ্রিকার চার দেশে সফরের সময় মেলানিয়ার ওই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
সাবেক মডেল তারকা ৪৮ বছর বয়সী মেলানিয়া ট্রাম্প ইয়োগোস্লাভিয়াতে (বর্তমানে স্বাধীন দেশ স্লোভেনিয়া) জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৫ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। ২০০১ সাল থেকে তিনি আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বসবাস শুরু করেন এবং ২০০৬ সালে নাগরিকত্ব পান। ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডির দায়িত্ব পালন করছেন।