পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: প্রতিবেশী ইউক্রেনে সব ধরনের সামরিক সহযোগিতা সরবরাহ স্থগিত করতে যাচ্ছে স্লোভাকিয়া। দেশটির এমন উদ্যোগে রণক্ষেত্রে ভারসাম্য পরিবর্তনে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে না। কিন্তু এটি কিয়েভের শাসকদের জন্য একটি প্রতীকী আঘাত। এমন সময় এই ঘোষণা আসলো যখন ২০ মাস ধরে চলমান যুদ্ধ নিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন অংশে অবসাদের ইঙ্গিত হাজির হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্লোভাকিয়ার নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেসামরিক সহযোগিতার পক্ষে তিনি। কিন্তু ইউক্রেনকে কোনও সামরিক সহযোগিতা সরবরাহের প্রতি তার সমর্থন নেই।
যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে স্লোভাকিয়াই প্রথম এমন সিদ্ধান্ত নিলো। তবে বাণিজ্যিক চুক্তি অনুসারে স্লোভাকিয়ায় নির্মিত কামান ও অপর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সরবরাহ অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে রেল ও সড়ক যোগাযোগ থাকা স্লোভাকিয়া পশ্চিমা দেশগুলোর সরবরাহ করা অস্ত্রের ট্রানজিট রুট হিসেবে বহাল থাকবে কিনা তা নিয়ে কিছু বলেননি রবার্ট ফিকো। অস্ত্র পরিবহনের প্রধান রুট পোল্যান্ড। কিন্তু চেক রিপাবলিক ও কয়েকটি দেশ থেকে অস্ত্র সরবরাহে স্লোভাকিয়াকে ব্যবহার করা হয়েছে।
ফিকোর ঘোষণার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। তবে তার এই ঘোষণায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।