পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : চলতি বছর হজে যেতে সরকারিভাবে দুটি ও বেসরকারিভাবে একটি প্যাকেজ বুধবার চূড়ান্ত করা হয়েছে। ঘোষিত প্যাকেজ অনুযায়ী, এবার হজযাত্রায় প্রত্যেক হজযাত্রীর লাখ টাকারও বেশি বাড়তি খরচ হবে।
বুধবার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে নির্বাহী কমিটির সভায় হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়। সভা শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকের হজ প্যাকেজ সম্পর্কে ব্রিফ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১-এ পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২-এ চার লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে একটি প্যাকেজে খরচ ধরা হয়েছে চার লাখ ৫৬ হাজার ৫৩০ টাকা। আগের তুলনায় প্যাকেজ-১-এর ক্ষেত্রে খরচ বেড়েছে এক লাখ দুই হাজার ৩৪০ টাকা, প্যাকেজ-২-এর ক্ষেত্রে বেড়েছে এক লাখ দুই হাজার ১৫০ টাকা।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৌদি সরকারের বিধি-নিষেধের মুখে গত দুই বছর বাংলাদেশিরা হজ পালন করতে পারেননি। সর্বশেষ ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন হজযাত্রীরা। ২০২০ সালে প্যাকেজ ঘোষণা করা হলেও বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে যেতে পারেননি। তখন হজ পালনে প্যাকেজ-১-এ চার লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং প্যাকেজ-২-এ খরচ ধরা হয়েছিল তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্যাকেজ-৩-এর খরচ ধরা হয়েছিল তিন লাখ ১৫ হাজার টাকা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীর জন্য চার লাখ ৫৬ হাজার ৫৩০ টাকার প্যাকেজ প্রস্তাব করা হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজ এজেন্সিগুলো সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১ ও প্যাকেজ-২-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, দ্বিপক্ষীয় হজচুক্তি মোতাবেক বাংলাদেশ থেকে এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জনসহ মোট ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গমনের সুযোগ পাবেন। হজযাত্রীর বিমানভাড়া, সৌদি আরবের বাড়িভাড়া, সার্ভিস চার্জ, মুয়াল্লিম ফি, জমজমের পানি, খাবার খরচ এবং অন্যান্য ফি হিসাব করে ২০২২ সালের জন্য প্যাকেজের প্রস্তাব করা হয়েছে।
