পাথেয় রিপোর্ট : হজ্ব যাত্রীদের চোখে পানি দেখতে চাই না। যদি কারো কোনো কর্মকাণ্ডের দ্বারা হজ্ব যাত্রীদের চোখে পানি পড়ে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নবগঠিত মন্ত্রিপরিষদে নিযুক্ত ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, কথা নয়, কাজ দিয়েই তা প্রমাণ করতে চাই।
শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জ শহরের নিজ বাসভবনে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন নবগঠিত মন্ত্রিপরিষদে নিযুক্ত ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
সব ধর্মের জন্য সমান সুযোগ ও প্রাপ্য দেওয়ার চেষ্টা করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, হজ্ব পালনকারীদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যা পোহাতে না হয় সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হজ্ব পালনকারীদের সমস্যা হবে এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনোভাবেই পছন্দ করেন না। আমার দায়িত্ব হবে আল্লাহর মেহমানদের সঠিকভাবে হজ্ব পালনের সুযোগ করে দেওয়া। তাদের চোখের পানি যেন কোনোভাবেই না পড়ে সেই কাজটি আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে করবো। আমি নিজে কোনো দুর্নীতি করবো না, অন্য কাউকেও দুর্নীতি করতে দেওয়া হবে না। শুধু মুসল্লিদের নয় হিন্দু, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদেরও সমান সুযোগ দেওয়া হবে।
মতবিনিময়সভায় স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ মোহম্মদ রুহুল আমিনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরপর প্রতিমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসায় মুসল্লিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং সদর সাব হুজুর শামছুল হক ফরিদপুরীর কবর জিয়ারত ও সদ্য প্রয়াত টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আব্দুল হালিম গিমাডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নেওয়া হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নতুন সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ভর্তির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি আদায় নিয়মবহির্ভূত কাজ এবং অন্যায়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দীপু মনি বলেন, যেসব বিদ্যালয়ে নিয়ম বেঁধে দেওয়া আছে সেই নিয়ম মেনে তারা ভর্তি করবেন। কোনো ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রমাণ পাওয়া গেলে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষার মানোন্নয়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া, প্রত্যেক শিশুকে স্কুলমুখী করা এবং ঝরেপড়া রোধসহ শিক্ষাক্ষেত্রে গত ১০ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়বিহীন গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপনসহ যেসব সাফল্য রয়েছে সেসব সাফল্য এগিয়ে নিতে আগামী পাঁচ বছরে এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া অন্যান্য যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা মোকাবেলা করা হবে। শিক্ষার মান উন্নয়নে যা কিছু প্রয়োজন তার সকল কিছু করা হবে। শিক্ষার্থীদের অহেতুক কষ্ট না দিতেও শিক্ষকদের সতর্ক করে দেন তিনি।