১৪ দিনের রিমান্ডে অং সান সু চি

১৪ দিনের রিমান্ডে অং সান সু চি

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করার পর এবার অং সান সু চির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলো। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলা হয়েছে। এর একটিতে আদালত তাঁকে ১৪ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আটকাবস্থায় তাঁকে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।

বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

এদিকে সেনা অভ্যুত্থানের তৃতীয় দিনে বুধবার থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। সেনা শাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগের ডাক দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জান্তা সরকারের জন্য কাজ না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সু চির নেতৃত্বাধীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এলএনডি) একজন মুখপাত্র জানান, সু চির বিরুদ্ধে আমদানি ও রপ্তানি আইন ভঙ্গের অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত। পুলিশ বলছে, তিনি বেআইনিভাবে ওয়াকিটকি আমদানি করেছেন, যা তাঁর নেপিডোর বাসভবনে পাওয়া গেছে।

ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে তাঁকেও দুই সপ্তাহের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশ বলছে, করোনা মহামারির সময় নিষেধাজ্ঞা ভেঙে জনসমাগম করেছেন তিনি।

অবশ্য গত সোমবার অভ্যুত্থানের পর থেকে সু চি বা উইন মিন্ট কাউকেই জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তাঁদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সু চিকে তাঁর নেপিডোর বাসভবনেই আটকে রাখা হয়েছে বলে নানা সূত্রে সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে। রিমান্ডকালে তাঁকে সেখানেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

তবে অন্তরীণ এই নেত্রীর মুক্তিসহ সেনা শাসনের বিরুদ্ধে বড় বড় শহরের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সেনা শাসনের প্রতিবাদে একজন চিকিৎসক চাকরিও ছেড়েছেন। অনেক চিকিৎসক রোগীদের সেবার কথা চিন্তা করে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তাঁরা জান্তা সরকারের নতুন মন্ত্রিসভাকে স্বীকৃতি দেবেন না বলে জানিয়েছেন। তাঁরা প্রতিবাদ জানাতে লাল রঙের ফিতা বা রিবন পরছেন।

অনলাইন কিংবা অফলাইনে এই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছে ইয়াঙ্গুনের বাসিন্দারাও। তারা ফেসবুকে নিজেদের প্রফাইল পিকচার বদলে শুধু ‘লাল’ বা ‘কালো’ রং দিচ্ছে কিংবা তিন আঙুলের স্যালুটের ছবি দিচ্ছে। গত বছর থাইল্যান্ডের বিক্ষোভকারীরা এভাবেই প্রতিবাদ জানিয়েছিল।

ইয়াঙ্গুন ইয়ুথ নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা থিনজার শুনলেই বলেন, ‘অসহযোগের অংশ হিসেবে তরুণরা দেশব্যাপী কর্মসূচি শুরু করেছে। তারা বিশেষ করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জান্তা সরকারের পক্ষে কাজ না আহ্বান জানাচ্ছে।’

এ ছাড়া ইয়াঙ্গুনের বাসিন্দারা মঙ্গলবার রাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে, হাঁড়িকুড়ি ও গাড়ির হর্ন বাজিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার সু চির দল এনএলডি তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *