পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সেতু চালু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন কর্ণফুলীর ওপারের বোয়ালখালীর অনেকে।
সংস্কার কাজের জন্য ১৪ মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু।
খুলে দেওয়ার পর রোববার সকালে থেকে মানুষ ও যানবাহন পারাপর করছে শতবর্ষী রেল-কাম সড়ক সেতুটি দিয়ে; এতে ভোগান্তি দূরের আশা রেখে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন কর্ণফুলীর ওপারের বোয়ালখালীর অনেক বাসিন্দা।
র্পূব রেলের সেতু প্রকৌশলি জিসান দত্ত বলেন, “সংস্কার কাজ সম্পন্ন হওয়ায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে কালুরঘাট সেতু খুলে দেয়া হয়েছে সকাল থেকে। ট্রেনের পাশাপাশি এখন সকল ধরণের যানবাহন সেতু দিয়ে চলাচল করতে পারবে।”
তবে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও সংস্কার কাজ চলাকালীন সময়ে সেতুতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
গত বছরের ১ অগাস্ট চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল যোগাযোগ শুরুর আগে, সংস্কারের জন্য সেতুটি দিয়ে যানবাহন চলাচল তিনমাসের জন্য বন্ধ করা হয়। ওই সেতু দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের জন্য কর্ণফুলী নদী দিয়ে ফেরী সার্ভিস চালু করা হয় সেসময়।
সংস্কার কাজ তিনমাসের মধ্যে শেষ হবার কথা থাকলেও ধাপে ধাপে তা গড়িয়েছে প্রায় ১৪ মাসে।
চট্টগ্রাম নগরীর সঙ্গে বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার একাংশের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম এই কালুরঘাট সেতু। সড়ক পথের সব ধরনের যানবাহনের পাশাপাশি এ সেতু দিয়ে ট্রেনও চলাচল করে।
কক্সবাজারের পথে রেল চালুর জন্য কালুরঘাট সেতু সংস্কার করে ৩১ অক্টোবর থেকে যান চলাচল শুরু হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে গত বছরের ৫ নভেম্বর কক্সবাজারের পথে রেল চলাচল শুরু হলেও যানবাহন চলাচল শুরু করা যায়নি।
সেতু চালু হওয়ায় স্বস্তি
কর্ণফুলীর ওপারের বোয়ালখালীর অনেকে প্রতিদিন নদী পার হয়ে শহরে আসেন চাকরি বা পেশাগত কারণে। শহর থেকেও অনেকে বোয়ালখালীতে যান নানা কাজে। সেতুর বিকল্প হিসেবে বোয়ালখালী উপজেলার মানুষকে ফেরির মাধ্যমে প্রতিদিন পারাপার হতে হত।
এছাড়া সেতুটি একমুখী হওয়ায় ওই অঞ্চলের মানুষদের পারাপারের জন্য যানবাহনে দীর্ঘসময় ধরে অপেক্ষায় থাকতে হয়। এরপরও সকাল থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ায় স্বস্তি মিলেছে এ অঞ্চলের মানুষদের।
সকালে সেতুর কালুরঘাট প্রান্তে গিয়ে দেখা গেছে, অপরদিক থেকে গাড়ি আসার জন্য লাইনে অপেক্ষায় আছে ছোটবড় বিভিন্ন যানবাহন। কিন্তু সিগন্যালের গোলমালের কারণে উভয় দিক থেকে যানবাহন সেতুতে উঠে যাওয়ায় কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়।
ওই লাইনের সিএনজি অটো রিকশা চালক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ায় আমরা খুশি। সংস্কারের সময় ফেরি দিয়ে পারাপারের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হত। এবং তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনাও ঘটেছে।”
কালুরঘাট সেতু একমুখী চলাচল হলেও ফেরি সার্ভিসের চেয়ে অনেক আগে পার হওয়া যায় বলেও ভাষ্য এই অটো রিকশা চালকের।
তবে একমুখী হওয়ার কারণে আগের বিড়ম্বনা খুব একটচা কমবে না বলেও মনে করেন বোয়ালখালীর বাসিন্দা ইয়াসির আরাফাত।
তিনি বলেন, “ঝামেলা কমাতে কর্ণফুলী নদীতে নতুন রেল ও সড়ক সেতু করতে হবে যেটি দিয়ে উভয়মুখী যানবাহন চলাচল করা যায়।”