পাথেয় রিপোর্ট : আজ মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। অভিবাসী কর্মীদের মর্যাদা ও অধিকার সমুন্নত রাখার প্রয়াসে প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত হয়ে আসছে। ২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বিশ্বব্যাপী ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালনের এ সিদ্ধান্ত নেয়।
‘অভিবাসী অধিকার-মর্যাদাও ন্যায় বিচার’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযথভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সরকার জাতীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এছাড়া প্রতি বছরের মতো এবারও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৮’ উদযাপন করছে। এবার দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘অভিবাসীর অধিকার-মর্যাদা ও ন্যায়বিচার’। দিবসটি জাতীয় পর্যায়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দিনব্যাপী মেলাসহ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
গতকাল সোমবার প্রবাসী কল্যাণ ভবনে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রৌনক জাহান এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
অভিবাসী দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে রৌনক জাহান বলেন, চলতি বছর ৭ লাখ ১২ হাজার ৩৪২ জন কর্মী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গমন করেছেন। এছাড়াও জাপানসহ বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষণপাপ্ত কর্মীদের পাঠানো হচ্ছে। জাপানসহ বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করছে। জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মীদের পাঠানোর লক্ষ্যে সারাদেশে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলো থেকে কর্মী বাছাই করে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে উপলক্ষে আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেইম-এ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ। পরে তিনি আন্তর্জাতিক অভিবাসী মেলা উদ্বোধন করবেন
অনুষ্ঠান দুটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম পর্ব দুপুর থেকে শুরু হবে। এ সময় অভিবাসী দিবস সম্পর্কে আলোচনাসভা, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রবাসীকর্মীর সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান, ক্রেস্ট বিনিময়, রাষ্ট্রপতির মেলা উদ্বোধন ও স্টল পরিদর্শন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে বিকেল চারটায়।
এ ছাড়া দিবসটি ঘিরে প্রতিটি জেলায় র্যালি, আলোচনা সভার পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টিমূলক প্রচারের ব্যবস্থা হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের নেতৃত্বে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ এসব অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।