পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : আমেরিকান মুসলিমরা ২০২১ সালে আনুমানিক ১৮০ কোটি ডলার যাকাত দিয়েছেন। ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির মুসলিম ফিলানথ্রপি ইনিশিয়েটিভ কর্তৃক গত সপ্তাহে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। এতে আরো বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে মুসলিমরা যাকাত হিসেবে প্রায় ২ হাজার ৭০ ডলার দান করেছেন। খবর মিডলইস্টআই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যাকাতের সবচেয়ে বড় অংশ প্রায় ২৫.৩ শতাংশ আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থাগুলোতে বিতরণ করা হয়েছিল, যেখানে ২১.৭ শতাংশ সরকারের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছিল এবং ১৮.৩ শতাংশ অভ্যন্তরীণ সংস্থাগুলোতে বিতরণ করা হয়েছিল। এছাড়া প্রায় ১৪.৭ শতাংশ অনানুষ্ঠানিকভাবে অর্থাৎ আত্মীয় বা অন্যদের দেওয়া হয়েছিল।
দাতব্য সংস্থা ইসলামিক রিলিফ ইউএসএ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আলি জানান, ২০২১ সালে তারা প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি ডলার অনুদান পেয়েছেন। এর মধ্যে যাকাতের পরিমাণ ছিল চার কোটি ডলার, আগের বছর যা ছিল সাড়ে তিন কোটি ডলার।
শরীফ আলি বলেন, যদিও যাকাত একটি ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা, তবে এটি আমাদের সম্প্রদায়ের সামাজিক সমস্যাগুলোকে মোকাবেলা করার একটি উপায়।
নিউইয়র্কের ট্যাক্সি ড্রাইভার শাজাইব চিমা বলেন, তিনিও কিছু দান করেছেন। তবে তিনি করোনভাইরাসের কারণে আগের বছরগুলোর তুলনায় ততটা দান করতে পারেননি। যাকাতের মূল সৌন্দর্য হলো, আমরা কতটা উপার্জন করি তার উপর ভিত্তি করেই এটা নির্ধারিত হয়। এটি কোনো বোঝা নয় বরং আশীর্বাদ।
চিমা আরো বলেন, আমি খুব বেশি অর্থ উপার্জন করি না, তবুও পাকিস্তানে যাকাত পাঠাই। আমার প্রতিবেশীরা খুব দরিদ্র। আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব তাদের জন্য পাঠাই।
নিউইয়র্কের একজন শিক্ষার্থী ইমান ফাতিমা জানান, অনেক লোকের মতো তিনিও ইয়েমেনের সংস্থাগুলোতে যাকাত পাঠিয়েছেন। কারণ তাদেরই সাহায্যের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমার বাবা-মা সবসময় ইয়েমেনের কয়েকটি সংস্থায় অনুদান ও যাকাত পাঠিয়েছেন। তারা আমাকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অভাবী মানুষ আছে ঠিকই কিন্তু সরকার তাদের সহায়তা করে। কিন্তু ইয়েমেনের বিষয়টি তেমন নয়।
ফাতিমা বলেন, এর অর্থ এই নয় যে, আমি আমেরিকায় কোনো দান করি না। তবে ইয়েমেনের অবস্থা আসলেই খারাপ এবং সেখানকার মানুষের অর্থের ভীষণ প্রয়োজন।