পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনী ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে দুটি পৃথক রকেট এবং বিস্ফোরক ড্রোন হামলার মুখোমুখি হয়েছে। ইরাকি নিরাপত্তা সূত্র এবং মার্কিন কর্মকর্তারা সোমবার রয়টার্সকে এ খবর জানিয়েছেন। একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, পশ্চিম ইরাকি প্রদেশ আনবারে আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে অন্তত একটি সশস্ত্র ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
মার্কিন ও ইরাকি কর্মকর্তাদের মতে, গত রবিবার উত্তর ইরাক থেকে প্রত্যন্ত উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার রুমালিনের একটি ঘাঁটিতে মার্কিন বাহিনীর দিকে পাঁচটি রকেট ছোড়া হয়। ড্রোন হামলায় হতাহতের বা উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। শনিবার ইরাকের একটি সামরিক ঘাঁটিতে একটি বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে। এ হামলায় ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর অন্তর্ভুক্ত একটি ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন।
গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রায় প্রতিদিনই রকেট ও ড্রোন হাম
লা হয়। ইরাকে ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স নামে পরিচিত ইরান-সমর্থিত শিয়া মুসলিম সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি দল সে সময় এই হামলার দায় স্বীকার করে। মূলত গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে মার্কিন সমর্থনের কথা উল্লেখ করে তারা এই হামলা চালায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণ করেছিল এবং শক্তিশালী নেতা সাদ্দাম হোসেনের পতন ঘটিয়েছিল।
এরপর ২০১১ সালে দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু ২০১৪ সালে বাগদাদ সরকারের অনুরোধে ইসলামিক স্টেট বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করার জন্য দেশটিতে আবারও মার্কিন বাহিনী মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে ইরাকে প্রায় ২৫০০ এবং পূর্ব সিরিয়ায় ৯০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।
সূত্র : আল-অ্যারাবিয়া