পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সব ক্ষেত্রে অবৈধ সিন্ডিকেটের রাজত্ব ও ঘুষ-দুর্নীতির মহোৎসবে অধিকার হারা জুলুম-নির্যাতনে পিষ্ট স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকরা প্রতিকার পাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিল সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির। তিনি বলেন, ৫৩ বছরেও মানুষ বিজয়ের স্বাদ পায়নি, মানুষের প্রতিবাদী কণ্ঠ চেপে ধরেছে জালেম-শোষক সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে শহিদুল ইসলাম কবির এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাক্কালে বলেছিলেন বন্দুকের নল দেখিয়ে বাঙালি জাতিকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। সে সময়ে বন্দুকের নল দেখিয়ে বাঙালি জাতিকে পাক হানাদার বাহিনী দাবিয়ে রাখতে না পারলেও আজ জালেম, শোষক ও সিন্ডিকেটের সদস্যরা কালো টাকা দিয়ে ১৮ কোটি মানুষের প্রতিবাদী কণ্ঠকে স্তব্ধ করেছে। স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ পদে পদে জুলুম, নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হচ্ছে। ন্যায্য অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে। ঘুষ-দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের মনোরঞ্জন ছাড়া সব ক্ষেত্রে নাগরিক জীবন অকার্যকর।
শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, দেশের হাতেগোনা কিছু রাজনৈতিক নেতা ও লোক দলীয় কর্মসূচি পালনে দেখানো বিজয় দিবস পালন করলেও দেশের সাধারণ মানুষ ৫৩ বছরে বিজয়ের প্রকৃত স্বাদ পায়নি।
তিনি বলেন, একদিকে ঘুষ-দুর্নীতি যেমন নাগরিকদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা, তেমনি সরকারি অফিসের সিংহভাগ কর্মকর্তাদের ঘুষ-দুর্নীতিতে ও দায়িত্বহীনতার কারণে দেশের দূতাবাস এবং ভিন্ন রাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের অফিসিয়াল কাগজপত্র অগ্রাহ্য করে বাংলাদেশের নাগরিকদের সামনে ছিঁড়ে ফেলার মতো ধৃষ্টতা দেখিয়ে স্বাধীন দেশকে প্রতিনিয়ত অবমাননা করে চলছে। এ বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস দেখাতে পারছে না।
শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, এমন পরিস্থিতি চলমান থাকলে দুর্নীতি দমন কমিশনের নামে সরকার বিরোধীদের দমন কমিশন হয়ত চলবে, দেশের বিজয় দিবস আর স্বাধীনতা দিবস হাজারো বছর পালন হতে থাকতে পারে কিন্তু দেশের মানুষ জুলুম-নির্যাতন, হয়রানির থেকে মুক্তি পাবে বলে মনে হয় না। বিজয়কে অর্থবহ করতে হলে ঘুষ-দুর্নীতি, দুঃশাসন ও সব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দেশের জনগণকে সোচ্চার প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করতে হবে।