৭৫৫ বছরের পুরোনো মসজিদ খুলে দিলো মিশর

৭৫৫ বছরের পুরোনো মসজিদ খুলে দিলো মিশর

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : দীর্ঘ সংস্কারের পর ৭৫৫ বছরের একটি পুরোনো ঐতিহাসিক মসজিদ পুনরায় খুলে দিয়েছে মিশর। ত্রয়োদশ শতকে নির্মিত এই মসজিদটি সোমবার (৫ জুন) জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় ধরে ঐতিহাসিক এই মসজিদটি সাবান কারখানা, কসাইখানা ও দুর্গ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। খবর রয়টার্স ও আল জাজিরা।

১২৬৮ সালে মামলুক শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল আল-জহির বেবারস মসজিদ। রাজধানী কায়রোর কেন্দ্রস্থল থেকে উত্তরে তিন একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত মসজিদটি মিশরের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ। আল-জহির বেবারস ছিলেন মিশরের ইতিহাসের একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। তিনি মিশরে মামলুক শাসনের ভিত্তি মজবুত করেন। তিন শতাব্দী বিস্তৃত ছিল মামলুক শাসন।

শুরু থেকেই এটি মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও ২২৫ বছর আগে এর ব্যত্যয় ঘটে। তখন থেকে মসজিদটি কখনও বন্ধ রাখা হয়, কখনও আবার ভিন্ন কোনো কাজে ব্যবহৃত হতে থাকে। মাঝে মধ্যে পরিত্যক্ত হিসেবেও পড়ে থাকে। এভাবে ঐতিহাসিক মসজিদটি ধীরে ধীরে তার পরিচয় হারিয়ে ফেলে।

জানা যায়, মিশরে নেপোলিয়নের অভিযানের সময় মসজিদটি সামরিক দুর্গ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছিল। ১৯ শতকে অটোমান শাসনামলে এটি সাবান কারখানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৮৮২ সালে ব্রিটিশদের হামলার পর কসাইখানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

মিশর কর্তৃপক্ষ জানায়, তারেক মোহাম্মদ আল-বেহারির তত্ত্ববধানে মসজিদটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, মসজিদটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কাজটি কঠিন ছিল। কারণ মসজিদের কিছু অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। আবার কিছু অংশ ভেঙে ফেলতে হয়েছে। নানা ধরনের যান্ত্রিক ও রাসায়নিক সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে মসজিদটিকে পুনর্গঠন করা হয়েছে।

ঐতিহাসিক এই মসজিদটির সংস্কার কার্যক্রমে ৭৬ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে। ২০১৭ সালে এই সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়। মাঝে তিন বছর সংস্কার কাজ বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয়। পুরো সংস্কার কার্যক্রমে মিশরের পাশাপাশি কাজাখস্তানও অর্থায়ন করেছে।

গত সোমবার সবার জন্য উন্মুক্ত হয় অনিন্দ্য সুন্দর কারুকার্য সংবলিত ‘আল জহির বেইবারস’ মসজিদের দরজা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিশর ও কাজাখস্তানের গ্র্যান্ড মুফতি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *