৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের আলোচনার প্রস্তাব পুলিশের

৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের আলোচনার প্রস্তাব পুলিশের

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরাধ করে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সাত কলেজের একদল শিক্ষার্থী।

সিজিপিএর শর্ত শিথিল করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ তিন কোর্স পর্যন্ত মানোন্নয়নসহ পরবর্তী বর্ষে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ চান তারা।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১টার দিকে সেখানে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

আজিমপুর-সায়েন্সল্যাব রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। একাধিকবার রাস্তা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেছে আইন শৃঙ্খল বাহিনী।

তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, সাত কলেজ ঢাবি অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তারা বিভিন্ন সময়ে এমন নিয়ম করেন যেগুলো শিক্ষার্থীরা মানতে নারাজ।

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি সমস্যার সমাধান গত ৬-৭ বছরে হয়নি। এখন দাবি- নির্ধারিত জিপিএ বা সিজিপিএ শিথিল করে তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দিতে হবে। একই সঙ্গে সামনে যাতে তিন মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়।

এদিকে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় সেজন্য পুলিশ সদস্যরাও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

অবরোধ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে নীলক্ষেত মোড়ে এসেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শাহেন শাহ মাহমুদ।

পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছি। যেকোনো বিষয়ে দাবি-দাওয়ার জন্য রাস্তা বন্ধ করা উচিত নয়।

শিক্ষার্থীরা আমার কথা শুনেছেন এবং আলোচনায় বসার জন্য সম্মত হয়েছেন। আমি নিজে শিক্ষার্থীদের নিয়ে সমন্বয়কের কাছে যাব এমন প্রস্তাব দিয়েছি।

শিক্ষার্থীরা আমাদের প্রস্তাব শুনেছেন এবং সমন্বয়কের কাছে বসে আলোচনার বসবে বলে বিশ্বাস করি।

এর আগে গত ১৬ আগস্ট সকাল ১০টা দুপুর ১টা পর্যন্ত নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে গত বোরবার (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণঅনশন পালন করেন তারা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *