পাথেয় টোয়েন্টিফোর : আগামী ৭ নভেম্বর পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা পালিত হবে বলে জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ১০ অক্টোবর বুধবার রাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। অারবি হিজরি সালের সফর মাসের শেষ বুধবারকেই বলা হয় আখেরি চাহার শোম্বা। আখেরী চাহার শোম্বা একটি আরবী ও ফার্সি শব্দ-যুগল; এর আরবী অংশ আখেরী, যার অর্থ “শেষ” এবং ফার্সি অংশ চাহার শোম্বা, যার অর্থ “চতুর্থ বুধবার।
রাসূল(সা.)-এর জীবনে আখেরি চাহার শোম্বা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পেয়ারে হাবীব নবী করিম (সা.) তার প্রভুর ডাকে সারা দেয়ার আগে এদিনে কিছুটা সুস্থতা বোধ করেছিলেন। কিছুটা সুস্থবোধ করায় রাসুল (সাঃ) গোসল করেন। মদীনাবাসী এই খবরে খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলেন এবং দলে দলে এসে নবী (সাঃ)-কে একনজর দেখে গেলেন। সকলে তাদের সাধ্য মতো দান-সাদকা করলেন, শুকরিয়া নামাজ আদায় ও দোয়া করলেন। সেদিন নবীর রোগমুক্তিতে তাঁর অনুসারীরা এতটাই খুশি হয়েছিলেন যে ,তাদের কেউ দাস মুক্ত করে দিলেন, কেউবা অর্থ বা উট দান করলেন। আবু বকর সিদ্দিক ৫ হাজার দিরহাম, উমর ৭ হাজার দিরহাম, ওসমান ১০ হাজার দিরহাম, আলী ৩ হাজার দিরহাম, আবদুর রহমান ১০০ উট, ইবনে আউফ ১০০ উট দান করেন।
আখেরী চাহার শোম্বা হলো ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পালিত অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি স্মারক দিবস। আগামী ৭ নভেম্বর পবিত্র এ আখেরি চাহার শোম্বা পালিত হবে বলে জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
১০ অক্টোবর বুধবার রাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার বাংলাদেশের আকাশে কোথাও ১৪৪০ হিজরি সনের পবিত্র সফর মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি। এর ফলে আগামীকাল বৃস্পতিবার পবিত্র মহররম মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী শুক্রবার থেকে পবিত্র সফর মাস গণনা শুরু হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৭ নভেম্বর (বুধবার) পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা পালিত হবে।
বুধবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান।
সভায় ধর্ম মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, অতিরিক্ত প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, ওয়াকফ প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন, ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আলমগীর রহমান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আজিজুর রহমান, ঢাকা জেলার এডিসি (জেনারেল) মো. শহিদুজ্জামান, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের এস এস ও আব্দুল্লাহ ইউসুফ ইমাম, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শেখ নাঈম রেজওয়ান ও লালবাগ শাহি জামে মসজিদের খতিব ক্বারী আবু রায়হান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।