‌দেওবন্দে পড়তে গিয়ে গ্রেফতার হওয়া শিক্ষার্থীদের জামিন; অর্থাভাবে আটকে আছে মুক্তি

‌দেওবন্দে পড়তে গিয়ে গ্রেফতার হওয়া শিক্ষার্থীদের জামিন; অর্থাভাবে আটকে আছে মুক্তি

পাথেয় রিপোর্ট : ভারতে জনবান্ধব সামাজিক সংগঠন জমিয়তে উলামা হিন্দের সার্বক্ষণিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে ফিরার পথে আটক হওয়া শিক্ষার্থীদের জামিন হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ফোনে জমিয়তে উলামা হিন্দের সেক্রেটারী মুফতি হাকীমুদ্দীন কাসেমী এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, জামিনের জন্য চৌদ্দ লাখ রুপির প্রয়োজন। ভারতের জমিয়তে উলামা হিন্দের সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা সাইয়্যিদ মাহমুদ মাদানী ৭ লাখ রুপী দিতে নিজের সম্মতি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন জানান, জামিনের জন্য বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার কাছেও হিন্দ জমিয়তুল উলামা অর্থ সহযোগিতা চেয়েছে। আমরাও চেষ্টা করছি। বাংলাদেশী তরুণদের মুক্তির জন্য আরো দশ লাখেরও বেশি টাকা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার জেনারেল সেক্রেটারী মাওলানা আবদুর রহীম কাসেমী দ্বীনদার বিত্তবান মানুষদেরকে অর্থ অনুদান দিয়ে দেওবন্দ ফেরত শিক্ষার্থীদের মুক্তির জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আটক বাংলাদেশের এ তরুণরা আমাদের সন্তান। এদেরকে মুক্তি করার জন্য সরাসরি আমাদের কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডগুলোকেই অগ্রসর হওয়া দরকার।

উল্লেখ্য, ২৫ জুন সোমবার দীর্ঘ প্রক্রিয়া গ্রহণের পর জমিয়তে উলামা হিন্দের সেক্রেটারি মাওলানা হাকীমুদ্দীন কাসেমীর নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল ত্রিপুরার আগরতলা সেন্ট্রাল জেলে যান। মাওলানা হাকিমুদ্দীন কাসেমী বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুনের কাছে পাঠানো সংবাদে বিস্তারিত উল্লেখ করে বলেন, জমিয়তে উলামা হিন্দের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা সাইয়্যেদ মাহমুদ মাদানীর প্রেরিত বিশেষ একটি প্রতিনিধি দলে আমরা আজ আগরতলা সেন্ট্রাল জেলে এসেছি। গত ১০ মে আটক হওয়া বাংলাদেশের ২৪ ছাত্রের মুক্তির প্রক্রিয়া চলছে এখানে।

মাওলানা মাহমুদ মাদানীর প্রচেষ্টায় তাদের মুক্তি প্রক্রিয়ার কাজ খুব দ্রুত এগুচ্ছে। আমাদের সাথে দিল্লী থেকে এসেছেন এডভোকেট নুরুল্লাহ এবং এখানকার (আগরতলা) এডভোকেট জহীরসহ সঙ্গে আছেন ত্রিপুরা জমিয়ত উলামা হিন্দের সদর মুফতী আব্দুল মুমিন ও জমিয়তে উলামা হিন্দ আগরতলা শহর সেক্রেটারি মাওলানা ইয়াসীন।

প্রসঙ্গত, ভারতের দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে ফেরার সময় গত ১০ মে ২৪ বাঙালি শিক্ষার্থীকে সন্দেহজনক আটক করে ত্রিপুরা পুলিশ। পরে তাদের ত্রিপুরা রাজধানী আগরতলা জেলে রাখা হয়। এ অবস্থায় দু’দেশের প্রধান আলেমদের মাঝে উদ্বেগ দেখা গেলেও কার্যত বাংলাদেশ ও ভারতের কেউই এগিয়ে আসতে পারছিলেন না। তবে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা শুরু থেকেই ভারতে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সঙ্গে আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির ব্যাপারে যোগাযোগ রক্ষা করে তাদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *