কওমি’র সিলেবাস ও ছাত্রলীগের রাজনৈতিক দর্শন সাংঘর্ষিক : ইসলামী আন্দোলন

কওমি’র সিলেবাস ও ছাত্রলীগের রাজনৈতিক দর্শন সাংঘর্ষিক : ইসলামী আন্দোলন

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : কওমি মাদ্রাসায় ছাত্রলীগের কমিটি গঠন প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেছেন, সিলেবাসের দিক থেকে কওমি মাদ্রাসা ও সাধারণ শিক্ষার মধ্যে বিস্তর ফারাক ও আদর্শিক পার্থক্য আছে। কওমি শিক্ষার সিলেবাস ও ছাত্রলীগের আদর্শ পুরোপুরি সাংঘর্ষিক ও বিপরীত।’

শনিবার (১৫ জুন) বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ সেক্যুলার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। ছাত্রলীগ ও কওমি মাদ্রাসার মধ্যে মতাদর্শের কোনও মিল নেই। তাহলে কওমি মাদ্রাসায় ছাত্রলীগ কীভাবে রাজনীতি করবে? হ্যাঁ, ছাত্রলীগ যদি কওমি মাদ্রাসার চিন্তাচেতনার আলোকে তাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ঢেলে সাজাতে পারে, তাহলে ভিন্ন কথা।’

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী কওমি মাদ্রাসায় কী হবে না হবে, কী পড়ানো হয়, এর পেছনে কেন লাগলেন? এটা আদর্শিকভাবে কওমি মাদ্রাসা ধ্বংসের কোনও চিন্তা কিনা তা ভাবতে হবে। ছাত্রলীগ যেখানে সরাসরি খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, হলদখল, লুটতরাজ, দুর্নীতি, বিদেশে টাকা পাচারকারীর সংগঠন হিসেবে ইতোমধ্যে নিজেদের জানান দিয়েছে, সেখানে কওমি মাদ্রাসাগুলো সরকারের কোনও প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়াই দেশে অসামান্য অবদান রাখছে। এ অবস্থায় কওমি মাদ্রাসা নিয়ে তাদের কমিটি গঠনের চিন্তা মাদ্রাসাগুলোকে ধ্বংসের নীলনকশা থেকেই করছে বলে মনে হয়।

তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ নিজেদেরকে আদর্শবান ও নৈতিকতাসম্পন্ন হিসেবে প্রমাণ করে দেখাক। দেশের সরকারি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইসলামি সংগঠনের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। এটা খুব স্পষ্ট, ছাত্রলীগের মতো সংগঠন কওমি মাদ্রাসায় নেই বলে সেখানে সন্ত্রাস, ধর্ষণ, চরিত্রহীনতা নেই।’

কওমি শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে মহাসচিব বলেন, ‘কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন তো ছাত্রলীগের বেশি। কওমি’র ছাত্রদেরকে কাউন্সেলিং করানোর দরকার নেই। তারা নিজেরা দেশপ্রেম, মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতাসম্পন্ন জাতি হিসেবে দেশ ও বিদেশে অসামান্য অবদান রেখে চলছে।’

Related Articles