রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ইতিবাচক মিয়ানমার

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ইতিবাচক মিয়ানমার

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় রিট্রিটে যোগ দেয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই এ মনোভাব ব্যক্ত করেন।
রিট্রিটের প্রথম দিন গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে ড. হাছান মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাদের আগের আলোচনাগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, মিয়ানমার দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে তারা তাদের দেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া নাগরিক রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে সম্মত আছে। কিন্তু এটি কাজে পরিণত হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হলেই কেবল মিয়ানমার তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার নজির রাখতে পারে।

মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেন এবং তার সরকারের সাথে আলোচনা করে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর অভিপ্রায় পুনর্ব্যক্ত করেন।
রিট্রিটের শেষ দিন গতকাল শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এ দিন সকালে দিল্লির কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন পঞ্চবটিতে ড. হাছান মাহমুদসহ ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ও নেপালের পররাষ্ট্র সচিব নরেন্দ্র মোদির সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে অংশ নেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাদের সাথে কুশলাদি ও সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় শেষে ফটোসেশনে অংশ নেন।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশের আঞ্চলিক জোট ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক)’ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রিট্রিটে বিমসটেক প্রক্রিয়াকে আরো শক্তিশালী করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সম্মেলনে বিমসটেককে আরো কার্যকর করতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন।
ড. হাছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সাথে সংক্ষিপ্ত পার্শ্ববৈঠকে বাংলাদেশে নিত্যপণ্য আমদানি সুবিধা অব্যাহত রাখা ও তিস্তা প্রকল্পের জন্য কারিগরি দল পাঠানোসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।

Related Articles