পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : রাশিয়ার অব্যাহত হামলায় রণক্ষেত্রে পরস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের সেনাপ্রধান ওলেক্সান্দার সিরস্কি। গত রবিবার তিনি বলেন, রাশিয়ার ক্রমাগত হামলার কারণে পূর্ব দোনেত্স্ক অঞ্চলের বেশ কয়েকটি অবস্থান থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে কিয়েভ কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের। কয়েক মাস আটকে থাকার পর গত সপ্তাহে ইউক্রেনকে প্রত্যাশিত ৬ হাজার ১০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আওতায় শিগগির ইউক্রেন নতুন অস্ত্র সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে নতুন সমরাস্ত্র এখনো রণক্ষেত্রে পাঠানো যায়নি। গোলাবারুদ, সেনা ও আকাশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের স্বল্পতায় গত কয়েক মাস ধরে রণক্ষেত্রে ধুঁকছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউক্রেন অত্যাবশ্যকীয় সমরাস্ত্র পাওয়ার আগ পর্যন্ত এই সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছে সেনা ও অস্ত্রশস্ত্রে ইউক্রেনের চেয়ে শক্তিশালী রাশিয়া।
গত রবিবার টেলিগ্রামে দেওয়া বার্তায় ইউক্রেনের সেনাপ্রধান ওলেক্সান্দার সিরস্কি বলেন, রণক্ষেত্রের পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। দোনেত্স্ক অঞ্চলে নিজেদের বেশ কয়েকটি অবস্থান থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। গত ফেব্রুয়ারিতে রুশ বাহিনী আভদিভকা দখলের পর দোনেত্স্ক অঞ্চলে প্রতিরক্ষাব্যুহ গড়ে তোলে ইউক্রেন। কিয়েভ নিয়ন্ত্রিত চাসিভ ইয়ার এলাকার আশপাশে বেশিরভাগ লড়াই হচ্ছে।
আভদিভকা দখলের পর এই এলাকাটিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। রুশ বাহিনীর কাছে কিছু অঞ্চল হারানোর কথা স্বীকার করে জেনারেল সিরস্কি বলেন, আরো পশ্চিমে নতুন প্রতিরক্ষাব্যুহ গড়া হয়েছে। তিনি বলেন, কিছু কিছু জায়গায় কৌশলগত সাফল্য পেয়েছে মস্কো। সেখানে পরাজিত ইউক্রেনীয় বাহিনীর পরিবর্তে বিশ্রামে থাকা যোদ্ধাদের মোতায়েন করা হয়েছে।
গত রবিবার রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, আভদিভকা থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরের নভোবাখমুতিভকা দখলে নিয়েছে রুশ সেনারা।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পান সিরস্কি। তাঁর পূর্বসুরি ভালেরি জালুঝনির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মতবিরোধ রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে।
আরেকটি গ্রাম রাশিয়ার দখলে
এদিকে গতকাল সোমবার পূর্ব ইউক্রেনে আরো অগ্রসর হয়েছে রুশ বাহিনী। মস্কো নিয়ন্ত্রিত আভদিভকা কাছে সেমেনিভকা নামের আরেকটি ইউক্রেনীয় গ্রাম দখল করেছে রাশিয়া।
সূত্র : বিবিসি, এএফপি