পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ইরানের শীর্ষ সুন্নি নেতা মৌলভী আব্দুলহামিদ ইসমাইলজাহি বলেছেন, বিক্ষোভকারীরদের নির্যাতন এবং জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় শরিয়া বিরোধী এবং অনৈসলামিক।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মারা যান কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনী। পোশাক পরিধানের বিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাহসার মৃত্যুর পর পুরো ইরানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ থামার পর এতে অংশগ্রহণকারীদের আটক করছে ইরানের আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। এরমধ্যে বিক্ষোভের দায়ে কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করা হয়েছে।
এসব দমন-পীড়ন চলায় এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন শিয়া মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইরানের শীর্ষ সুন্নি নেতা মৌলভী আব্দুলহামিদ।
শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে তিনি বলেছেন, ‘যদি কেউ অভিযোগ স্বীকার না করে তাহলে তারা নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায় করে। ইসলামী শরিয়া এবং আমাদের সংবিধানে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তির কোনো স্থান নেই।’
সুন্নি এ নেতা সিস্তান-বালুচিস্তানের রাজধানী জাহেদানে বসবাস করেন। এখানেই বাস করেন সংখ্যালঘু বালুচ সম্প্রদায়ের মানুষ। ইরানের বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর সমালোচনা করায় মৌলভী আব্দুলহামিদকে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইরানের মধ্যেও তার চলাচলে আছে বিধি-নিষেধ।
গত কয়েকদিনে সিস্তান-বালুচিস্তানের জাহেদানে ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। এসব ধরপাকড়ের কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন মৌলভী আব্দুলহামিদ।
শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর সাধারণ মানুষও গণ গ্রেপ্তারের বিরোধীতা করেছেন। ইরানের শাসকগোষ্ঠীর সমালোচনা করে বিভিন্ন স্লোগান দিয়েছেন তারা।
এদিকে দুইদিন আগে ইরানের বিখ্যাত শেফ নবাব ইব্রাহিমীকে আটক করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে রাজধানী তেহরানের এভিন কারাগারে বন্দি আছেন। এছাড়া মধ্যপন্থী পত্রিকা ইতিমাদের রাজনৈতিক সম্পাদক মেহদী বেইগকেও আটক করা হয়েছে।
- সূত্র: রয়টার্স