পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : তুরস্ক এবং সিরিয়ায় সোমবারের ভূমিকম্পে মৃত্যু সংখ্যা একুশ হাজার ছাড়িয়েছে। যদিও জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, বিপর্যয়ের সম্পূর্ণ ছবি এখনও অস্পষ্ট। দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের তিনদিন পরও ধ্বংসস্তুপের মধ্যে উদ্ধারকারীরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে জীবিতদের খুঁজে পাওয়ার আশা ম্লান হয়ে আসছে।
তুরস্ক ও সিরিয়ার সরকার ও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পে তুরস্কে ১৭ হাজার ৬৭৪ জন এবং সিরিয়ায় ৩ হাজার ৩৭৭ জন মারা গেছে। ফলে দুই দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৫১ জন।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডা এবং তুষারপাতের কারণে বেঁচে যাওয়া হাজার হাজার মানুষের জীবন বর্তমানে হুমকির মুখে। অনেকে আশ্রয়হীন, নেই পানি ও খাবারও। বৃষ্টি, যোগাযোগ বিপর্যয়সহ নানা সমস্যার কারণে অনেকের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এই ভূমিকম্পকে ‘শতাব্দীর বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেছেন।
বিভিন্ন বড় বড় আন্তর্জাতিক সাহায্যকারী সংস্থাগুলো ত্রাণ সরবরাহ করছে। এদিকে স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংক ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য তুরস্ককে ১.৭৮ বিলিয়ন ডলার সহায়তার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যানবাহনের ঘাটতি এবং বিধ্বস্ত রাস্তার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এক লক্ষ বা তার বেশি উদ্ধারকর্মীর প্রচেষ্টা। এ ছাড়া এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে খারাপ আবহাওয়া।
জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, ‘বিপর্যয়ের সম্পূর্ণ মাত্রা এখনও আমাদের চোখের সামনে উন্মোচিত হচ্ছে। বিশেষ করে সিরিয়ায়, যেখানে দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধ দেশটিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মত জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা ইদলিবের বাব আল-হাওয়া ক্রসিং দিয়ে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করেছে। এটিই একমাত্র ক্রসিং যেখান দিয়ে জাতিসংঘের সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব।
জাতিসংঘ ছাড়াও ইইউ, ন্যাটো, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ভারত, জাপান, ইরাক, ইরান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, গ্রিস, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশের সরকার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে আন্তর্জাতিক সাহায্য পাঠানো হচ্ছে।
- সূত্র: এএফপি ও বিবিসি