পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। তুরস্কে ৩১ হাজার ৬৪৩ জন এবং সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ৩ হাজার ২০০ ও সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ১ হাজার ৪১৪ জন নিহত হয়েছেন। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প আঘাত হানার এক সপ্তাহ পর উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। মৃতের সংখ্যা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আট দিন আটকে থাকার পর অলৌকিকভাবে উদ্ধার করা হয়েছে এক ছেলে ও ৬২ বছর বয়সী এক নারীকে। তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় হাতায় প্রদেশে মুস্তাফা নামে সাত বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে হাতইয়ের নুরদেগী থেকে নাফিজ ইলমাজ নামে এক বৃদ্ধাকে উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে উদ্ধারের আগে ১৬৩ ঘণ্টা আটকে ছিলেন দুইজনই। তুরস্কের দুর্যোগ সংস্থার মতে, বিভিন্ন সংস্থার ৩২ হাজারেরও বেশি লোক অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টায় কাজ করছে।
গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আট দিন আটকে থাকার পর অলৌকিকভাবে উদ্ধার করা হয়েছে এক ছেলে ও ৬২ বছর বয়সী এক নারীকে।
গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আট দিন আটকে থাকার পর অলৌকিকভাবে উদ্ধার করা হয়েছে এক ছেলে ও ৬২ বছর বয়সী এক নারীকে।
এছাড়া এসব কাজে সহযোগিতা করছেন ৮ হাজার ২৯৪ আন্তর্জাতিক উদ্ধারকর্মী। তুর্কি সরকারের অনুমান অনুসারে, এই শক্তিশালী ভূমিকম্পে দেশের মোট ১২ হাজার ১৪১টি ভবন ধসে পড়েছে বা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গত সোমবারের ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কে ২৯ হাজার ৬০৫ জন এবং সিরিয়ায় ৩ হাজার ৫৮১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ফলস্বরূপ, এ পর্যন্ত দুইটি দেশে মোট ৩৩ হাজার ১৮৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।