ছোলার কেজি ৯০ টাকা, আরও কমানোর দাবি ক্রেতাদের

ছোলার কেজি ৯০ টাকা, আরও কমানোর দাবি ক্রেতাদের

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : এক মাস আগে ছোলার দাম বৃদ্ধি পাওয়াতেই ক্রেতাদের আশঙ্কা ছিল রমজান আসতে আসতে আরও কয়েক দফা হয়তো বাড়বে। ফলে ইফতারে ছোলার ব্যবহার কমিয়ে আনারও চিন্তা করেছিলেন অনেকে। তবে ছোলার মূল্য বৃদ্ধির শঙ্কা দূর হয়েছে, পাশাপাশি এক সপ্তাহের ব্যবধানে মূল্যও কমেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সরজমিন রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায় ছোলা কেজি প্রতি ৯০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। যা দুই সপ্তাহ আগেও ৯৫ টাকা করে বিক্রি হতো। এছাড়া মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে খেসারির ডাল ও বেসনের। বাজারে এই দুটি পণ্য বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। তবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ এর মূল্য তালিকা অনুসারে মান ভেদে ছোলার দাম কেজি প্রতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা। মসুর ডাল ৬০ টাকা কেজি।

দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভারতীয় ছোলার সরবরাহ বাজারে বেড়ে যাওয়ায় দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

মিরপুর-১১ মোহম্মদিয়া মার্কেটের মুদি দোকানি মুন্না বললেন, ‘ডাল-ছোলার দাম শবেবরাতের পর বেড়েছিল। কিন্তু এখন আবার ৫ টাকা কম। বাজারে ভারতের ছোলা ঢুকছে, এই কারণে দাম কমছে।’

দাম আরও কিছুটা কমতে পারার আভাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘বাজারে ছোলা যথেষ্ট আছে। আরও আসলে তখন টান পড়ার কোনও সুযোগ নাই। দাম এরকমই থাকবে আরও কিছুদিন।’

শুক্রবাদ এলাকার আরেক বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, ‘চাহিদা অনুযায়ী বাজারে ছোলা আছে। দাম গত সাপ্তাহের চেয়েও কম। কয়েকদিন ধরেই ভারতের ছোলা বাজারে আসতেছে।’

তবে ছোলার ৯০ টাকা দামকেও স্বস্তিদায়ক মনে করছেন না ক্রেতারা। মিরপুর-১১তে বাজার করতে আসা ক্রেতা আবদুস সালাম বলেন, ‘সব জিনিসের দাম কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা পড়ে যায়। হয়তো দশ টাকা কম বেশি। তাহলে বাজারে জিনিসপত্র মানুষের সামর্থের ভেতর কেমনে থাকে! রোজার প্রত্যেকটা আইটেমের দাম হওয়া উচিত কেজিতে ৫০টাকা করে।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *