পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারত্বে উন্নীত হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সম্মানে আয়োজিত ভোজসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমি আত্মবিশ্বাসী, আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ইন্দো-প্যাসিফিক ও তার বাইরের সকলের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কৌশলগত সম্পদ ও উন্নত প্রযুক্তিতে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র খুলে দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আমাদের অংশীদারিত্ব বিভিন্ন সংকট, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে ফ্রান্স বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী।”
তিনি বলেন, “আমরা দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আচরণের ওপর নজর রেখে একটি শক্তিশালী বাণিজ্য অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছি।”
ভারতের নয়াদিল্লিতে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে যোগদান শেষে বাংলাদেশে দ্বিপাক্ষিক সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে রাতে ঢাকায় আসেন ম্যাক্রোঁ।
শেখ হাসিনা বলেন, “এই ভোজসভায় ফরাসি প্রেসিডেন্টকে আতিথ্য দিতে পারাটা অত্যন্ত আনন্দের ও সম্মানের।”
তিনি বলেন, “২০২২ সালের নভেম্বরে এলিসি প্যালেসে আপনার উষ্ণ আতিথেয়তার কথা স্মরণ করছি। আমি আনন্দিত আপনি আমার ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।”
“বাংলাদেশের জনগণ আপনি (ফরাসি রাষ্ট্রপতি) এবং আপনার প্রতিনিধি দলকে এখানে স্বাগত জানিয়েছে,” যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “ফ্রান্স আমাদের হৃদয়ে এবং ভাবনায় বিশেষভাবে জায়গা করে নিয়েছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা আপনার জন্য বিশেষ কাচ্চি বিরিয়ানির আয়োজন করেছি, যেটি আমাদের সংস্কৃতির অংশ। আমাদের দুই দেশের সংস্কৃতি একে অপরের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্রান্স ও আমাদের উভয় জাতিই নিজেদের ন্ধনপ্রণালী, সংস্কৃতি এবং ভাষাগত ঐতিহ্যের জন্য অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের দুই জনগোষ্ঠীকে একে অপরের কাছাকাছি আনতে আমাদের দুটি সংস্কৃতির মধ্যে আরও সংমিশ্রণের সময় হয়েছে।”
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনার জন্য আরেকটি বিশেষ জুস তৈরি করা হয়েছে, যেটি আমাদের স্থানীয় ফল আমড়া দিয়ে তৈরি।”
তিনি বলেন, “আমার পিতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরাসি বিপ্লবের চেতনায় অত্যন্ত অনুপ্রাণিত ছিলেন।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু তার আত্মনিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ে স্বাধীনতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধের প্রচারে তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।”
“এটি তার (বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ভাষণে) প্রতিফলিত হয়েছে,” যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বাধীনতার আহ্বান আন্দ্রে মারলাক্সের মতো বিশ্ব বুদ্ধিজীবীদের মতের সঙ্গে মিলেছিল। যারা আমাদের উদ্দেশ্যের জন্য লড়াই করার জন্য অনেক তরুণকে সংগঠিত করেছিলেন।”
তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সে আপনি যে অনেক সাহসী সংস্কার করেছেন তার জন্য আমরা আপনাকে প্রশংসা করি। আমরা আপনাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তাজা বাতাসের শ্বাস বলে মনে করি।”