পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: বন্যা দুর্গত সিকিমে যেখানে পর্যটকরা আটকে আছেন সেখানে প্রয়োজনীয় সাহায্য পৌঁছানো শুরু করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজে এখনও হেলিকপ্টার নামানো হয়নি।
এরই মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে সাকো-চু হ্রদ। বৃহস্পতিবার রাতে এই হ্রদ নিয়ে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। যদিও সিকিম প্রশাসনের দাবি, তিস্তার দু’পাড়ের এলাকায় পরিস্থিতির নতুন করে অবনতি হয়নি। সহজে পৌঁছনো যায়, এমন এলাকা, অর্থাৎ পেলিং বা গ্যাংটক থেকে অনেক পর্যটক সমতলে নেমেছেন।
তাদের নিরাপদে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করতে শিলিগুড়িতে ‘হেল্প ডেস্ক’ খোলা হয়। রংপো, সিংটাম ও বারদাং এলাকায় ভেতরের দিকে রাস্তা খোলা হয়েছে। তবে শিলিগুড়ি থেকে তিনটি রুটে ঘুরপথে প্রায় ৭-৯ ঘণ্টায় গাড়ি গ্যাংটকে পৌঁছাচ্ছে।
আজ বিভিন্ন এলাকায় আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক হলে উদ্ধারকাজ শুরু হতে পারে। মঙ্গন থেকে হেঁটে চুংথামে গিয়ে রাস্তার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে এনডিআরএফেএর একটি দল। নতুন করে ন’টি মরদেহ তিস্তা থেকে উদ্ধার হয়েছে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শামা পারভীন বলেন, এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ জন সেনা জওয়ান, দু’জন সাধারণ বাসিন্দাকে শনাক্ত করা হয়েছে।