নিজস্ব প্রতিবেদক : কমলাপুরে মানুষ আর মানুষ। লম্বা লাইন স্টেশনের সীমানা ছাড়িয়ে গেছে। ২৩ টি কাউন্টার থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। প্রতিটি কাউন্টারের লাইনে শত শত মানুষ। রেল কর্মচারীদের মতে, এর আগে কখনও এতো মানুষ দেখা যায় নি। অন্যদিকে, বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে গতকাল সকালের দিকে গাবতলীতে ভিড় ছিল। অন্যান্য বারের মতো কাউন্টার খুলতে না খুলতেই টিকিট শেষ! মহাখালী, সায়েদাবাদ ও ফুলবাড়ীয়া টার্মিনালে অগ্রিম টিকিটের জন্য ভিড় ছিল না বললেই চলে। এ হিসাবই বলে দিচ্ছে আসন্ন ঈদে ট্রেনের উপর ঘরমুখি মানুষের চাপ আগের তুলনায় অনেক বাড়বে।
১৪ তারিখের টিকিট পেতে গতকাল সন্ধ্যা থেকেই টিকিট প্রত্যাশীরা লাইনে দাঁড়াতে শুরু করেন। মানুষের এই টিকিটের লাইন মধ্যেরাত বা সেহেরির পর আরও দীর্ঘ হয়। আর সকালে তো কমলাপুর রূপ নেয় জনসমুদ্রে। কমলাপুরে এখন শুধু মানুষ আর মানুষ। টিকিট কাউন্টারের সামনে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
আজ বিক্রি হচ্ছে আগামী ১৪ জুনের টিকিট। সকাল ৮টা থেকে মোট ২৬টি কাউন্টারে টিকিট দেয়া হচ্ছে।এর মধ্যে নারীদের জন্য সংরক্ষিত কাউন্টার আছে দুইটি। এছাড়া আগামীকাল ৬ জুন দেয়া হবে ১৫ জুনের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট।
টিকিট কাউন্টার থেকে জানানো হয়, একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন। ঈদ উপলক্ষে বিক্রিত টিকিট ফেরতযোগ্য নয়। সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা ট্রেনে কোনো আসন বিহীন টিকিট ইস্যু করা হবে না। অন্যান্য ট্রেনের ক্ষেত্রে শুধু যাত্রীদের অনুরোধে যাত্রার দিন আসন বিহীন টিকিট ইস্যু করা হবে।
এদিকে ট্রেনর অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে আইন-শৃংখলা বাহিনীসহ রেলওয়ের নিজস্ব বাহিনী তৎপর রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
patheo/106