নিজস্ব প্রতিবেদক : গণপরিবহন খাতে নৈরাজ্য বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গণসংস্কৃতি দল (বাগসদ)। পাশাপশি দেশজুড়ে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ‘ভোট লুটের’প্রতিবাদ জানান তারা। মঙ্গলবার (৩ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাসদ আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, দেশের অবস্থা ভীষণ খারাপ। উন্নয়নের কথা শুনলে মানুষ হাসে, টেলিভিশনে যখন উন্নয়নের কথা বলে তখন দেশের জনগণ বলে উন্নয়ন মানে মহা লুট হয়েছে। যেহেতু বিনা ভোটে সরকার এসেছে সেহেতু বাস মালিকদের সমিতি সরকারের কথা শোনে না। যার কারণে গণপরিবহনে নৈরাজ্য চলছে। ব্রিটিশ আমলের বাস এখনও ঢাকায় চলে।
ঢাকা শহরের যানজট অর্ধেক কমে যাবে যদি ট্রাফিক সিস্টেম ঠিক করা হয়। তিনি বলেন, সরকার বলে দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু খুলনা ও গাজীপুর নির্বাচনে গু-াবাহিনী দরজা আটকে দিয়ে সিল মেরেছে, সেহেতু নির্বাচন শান্তিপূর্ণই হয়েছে!নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশে প্রতিনিয়ত সড়কে মৃত্যুর মিছিল চলছে। আর সরকার বলছে দেখেশুনে সড়কে চলাচল করা উচিত। কিছুদিন আগে মাদক নির্মূলের নামে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সরকার ভিন্ন ধরনের খেলা খেলছে। এ খেলা বন্ধ করতে হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর যে অত্যাচার চলছে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে এতে মাথা নত হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, সরকার যখন গণতন্ত্রবিরোধী হয় তখন তারা আস্থা রাখে পুলিশ এবং দেশি-বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার ওপর। গাজীপুর ও খুলনায় নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন পদ্ধতির এত সূক্ষ্ম দুর্নীতি ছিল নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তারা আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বিএনপি নেতা ও নির্বাচনী এজেন্টদের গ্রেফতার করিয়েছে। তাদের এ দুর্নীতির উত্তর একদিন না একদিন দিতে হবে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, দেশে গণতন্ত্রের স্পেস নেই। বেঁচে থাকাটাকেও সংকুচিত করা হয়েছে। মানুষের বেঁচে থাকাটাই প্রধান আকুতি সেখানে গণতন্ত্র বা অন্যান্য কিছু চাওয়া-পাওয়ার সুযোগই নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের লগি বৈইঠা দিয়ে নাচতে নাচতে মারে আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখে।
আয়োজক কমিটির সভাপতি এস আল মামুনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, বিকল্পধারার সহ সভাপতি শাহ আহমেদ বাদল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, জিনাফ সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, দেশ বাচাঁও মানুষ বাচাঁও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম প্রমুখ।