ক্রীড়া ডেস্ক : শুরুতে যে ঝড় এলো, তাতেই লণ্ডভণ্ড বাংলাদেশ। পরে আর গুছিয়েই উঠতে পারেনি অ্যান্টিগা টেস্টে। ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি প্রথম সকালের ধ্বংসস্তুপ থেকে। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই জ্যামাইকা টেস্টে শুরুটা ভালো করতে চান সাকিব আল হাসান। এরপর এগোতে চান প্রতিটি সেশন ধরে।
অ্যান্টিগায় ম্যাচের প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে বাংলাদেশ হারায় ৫ উইকেট। সেই ধাক্কা আর সামাল দেওয়া যায়নি। লাঞ্চের লাঞ্চের আগেই দল গুটিয়ে যায় ৪৩ রানে। পরে ম্যাচ হারে দুই দিন আর এক সেশনেই।
জ্যামাইকায় তাই শুরুটা নিয়ে সতর্ক সাকিব। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। আগে ব্যাটিং হোক বা বোলিং, বাংলাদেশ অধিনায়ক সুরটা ঠিক করতে চান শুরুতেই।
“আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমরা কতটা ভালো শুরু করতে পারছি, সেটি হবে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটিং আগে করি বা বোলিং, শুরুটা খুব ভালো করতে হবে আমাদের। এরপর গতিটা ধরে রাখতে হবে। পাঁচ দিনের ম্যাচ। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন বেশিরভাগ সেশন আমরা জিততে পারি। একমাত্র সেভাবেই আমরা ম্যাচ জিততে পারি।”
অ্যান্টিগার হারের ক্ষত এত গভীর যে এখনই শুকিয়ে যাওয়া কঠিন। বাংলাদেশকে তা পোড়াচ্ছে এখনও। তার পরও দল যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী, জানালেন অধিনায়ক।
“খুবই হতাশার ছিল প্রথম টেস্ট। আমরা জানতাম কাজটা কঠিন হবে। তবে যেভাবে আমরা খেলেছি, তা ছিল গড়পড়তার নিচে। অবশ্যই আমাদের উন্নতি করতে হবে। এই মুহূর্তে ছেলেরা বেশ আত্মবিশ্বাসী। যদিও আমরা আগের ম্যাচে ভালো করিনি। তবে এটি নতুন দিন, নতুন ম্যাচ। এই ম্যাচে ভালো করতে আমরা মুখিয়ে আছি।”
প্রথম টেস্টের পর এবারও আগ্রহের কেন্দ্রে থাকবে উইকেট। সবুজ উইকেটে বাংলাদেশের দুর্দশা পর জ্যামাইকায় একইরকম উইকেট থাকটা একরকম নিশ্চিতই। ম্যাচের আগের দিন স্যাবাইনা পার্কের উইকেট দেখে সাকিবের মনে হয়েছে, এটি আরও গতিময়। অধিনায়কের চাওয়া, এখানে দ্রুত মানিয়ে নেওয়া।
“এখানে গতি ও বাউন্স আরেকটু বেশি হবে বলে মনে হচ্ছে। অ্যান্টিগার চেয়ে একটু বেশি ধারাবাহিক গতি ও বাউন্স থাকবে। আমার মনে হয়, এটি ‘ট্রু’ উইকেট হবে। যদি নিজেদের মেলে ধরতে পারি ঠিকভাবে, তাহলে আমরা ভালো করতে পারি। খেলা শুরুর পর যত দ্রুত সম্ভব আমাদের মানিয়ে নিতে হবে।”