ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : গত পাঁচ বছরে একবারও খোলা হয়নি দুর্নীতি দমন কমিশন তথা দুদকের অভিযোগ বাক্স। বাক্সের মুখে লাগানো তালাটি মরিচা ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। কার দায়িত্বে রয়েছে এই বাক্সটি তাও জানে না কেউ ।
এ অবস্থায় ঠাকুরগাঁওয়ের বর্তমান জেলা প্রশাসক মো. আখতারুজ্জামান নড়ে-চড়ে বসেছেন। বাক্সটি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে সেটি সচল করার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দোতলার করিডোরে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি অভিযোগ বাক্স রাখা আছে। ওই করিডোরে প্রায় প্রতিদিনই জেলা প্রশাসকের কর্মকর্তা এবং এলাকার সচেতন মানুষের আনাগোনা থাকলেও সবার দৃষ্টির আড়ালেই থেকে গেছে বাক্সটি।
বর্তমান জেলা প্রশাসক আখতারুজ্জামান যোগদানের পরই তিনি বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি বিষয়টি জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল লতিফের দৃষ্টিতে আনেন। সাধারণ সম্পদক জেলা প্রশাসককে জানান, বাক্সটি দুদক দিনাজপুর কার্যালয় স্থাপন করেছেন। তিনি দুদক দিনাজপুর কার্যালয় থেকে তথ্য নিয়ে জানান, এটি দেখভাল করার দায়িত্ব এবং প্রাপ্ত অভিযোগ দিনাজপুর দুদক দপ্তরে পাঠিয়ে দেয়ার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের। কমপক্ষে মাসে একবার অভিযোগ বাক্সটি খুলে প্রাপ্ত অভিযোগসমূহ দিনাজপুর দুদক অফিসে পাঠানোর নিয়ম। কোন মাসে অভিযোগ পাওয়া না গেলেও শূন্য প্রতিবেদন পাঠানোর কথা। অথচ তার কিছুই হয়নি গত পাঁচ বছরে।
জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ব্যাপারটি তাৎক্ষণিকভাবে সংস্থার দিনাজপুর অফিসের উপ-পরিচালক বেনজির আহম্মেদের কাছে জানন। তখন জানা যায়, ওই অভিযোগ বাক্সটি প্রায় ৫ বছর আগে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্থাপন করা হয় এবং এর চাবি তৎকালীন এনডিসির হাতে হস্তান্তর করা হয়। দিনাজপুর অফিস জানায়, ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে আজ পর্যন্ত একটি প্রতিবেদনও পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, বিষয়টি পুরোপুরি জানার পর বর্তমান জেলা প্রশাসক আখতারুজ্জামান এখন থেকে ওই অভিযোগ বাক্সটি নিয়মিত খুলে অভিযোগসমূহ দুদক দিনাজপুর সমন্বিত কার্যালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। ৫ বছরেও খোলা হয়নি দুদকের অভিযোগ বাক্স!
বাক্সটি। বিষয়টি পুরোপুরি জানার পর বর্তমান জেলা প্রশাসক আখতারুজ্জামান এখন থেকে ওই অভিযোগ বাক্সটি নিয়মিত খুলে অভিযোগসমূহ দুদক দিনাজপুর সমন্বিত কার্যালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।