‘স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত, হেফাজত নয়’

‘স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত, হেফাজত নয়’

পাথেয় রিপোর্ট : জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধী, কিন্তু হেফাজত স্বাধীনতা বিরোধী নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) রাতে গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ এবং সংসদীয় দলের যৌথ সভায় এ কথা বলেন তিনি।

সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবিরকে যারা প্রশ্রয় দেয় তাদের সঙ্গে আপোস করা যাবে না। তবে মনে রাখতে হবে জামায়াত আর হেফাজত এক নয়। জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধী, কিন্তু হেফাজত স্বাধীনতা বিরোধী নয়।

বৈঠকে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জামায়াত এবং হেফাজতকে এক করে দেখবেন না, এমন করে বক্তব্যও দেবেন না। মানুষকে বোঝাতে হবে তারা মোটেও এক নয়। জামাত আর হেফাজতের মধ্যে পার্থক্য আছে। জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধী কিন্ত হেফাজত তা নয়।

এ সময় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ১৪ দলের নেতাদের বলে দেবেন তারা যেন জামায়াত আর হেফাজতকে এক করে না ফেলেন। হেফাজতের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে তাদের নিষেধ করে দেবেন। হেফাজতের বিরুেদ্ধ তাদের বক্তব্য মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে। সাধারণ মানুেষর জানা উচিৎ হেফাজত আর জামায়াত এক নয়।

এ ছাড়াও আসন্ন জাতীয় একাদশকে সামনে রেখে দলের নেতাকর্মীদের আরো তৎপর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। দলীয় নেতা ও সাংসদরা যেন তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন এবং আওয়ামী লীগ দেশের যেসব উন্নয়ন করেছে সেটা বড় করে সবার সামনে তুলে ধরেন তার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচনে আবারো জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসতে চান তারা। যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলেই উন্নয়নের গতিধারাটা থাকবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তাহলেই মানুষ আরো সুন্দর জীবন পাবে। প্রত্যেকটা গ্রাম শহরে রূপান্তর হবে। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। সুখি জীবন-যাপন করবে।

বৈঠকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৩৩ সদস্যের মূল (কোর) কমিটি গঠন করে। দলীয় ফোরামে এই প্রথম যুক্ত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

উল্লেখ্য, বৈঠকে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সম্পর্কে নেতাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন তিনি। তিনি বলেন, আসেল দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করাই ঐক্যফ্রন্টের আসল উদ্দেশ্য। তাদের ভালো কোনও উদ্দেশ্য নেই। একটা অনির্বাচিত সরকারকে দেশ পরিচালানা দায়িত্বে আনতে চান তারা। জনগণকে এদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতন করাটা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। সবাইেক ঐক্যফ্রন্টের আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানােনা উচিৎ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *