নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে এমনিতেই পুরনো ভবনের সংখ্যা অনেক। সময়ে প্রশাসন এসবের বিরুদ্ধে কিছ’ ব্যবস্থাও নিয়েছে। কখনো ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। কখনো নির্দেশ দিয়েছে মেরামতের। তবে বর্তমানে রাজধানীতে ২২৫টি ঝুকিপূর্ণ ভবন আছে বলে এক তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় ২৫৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আছে বলে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জাতীয় সংসদকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
রোববার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাংসদ এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হলে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ২০১০ সালে রাজউক ঢাকায় ৩২১টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করলেও বর্তমানে এর সংখ্যা ২৫৫টি। রাজউক চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ২৮টি ভবন মালিকপক্ষ পুনর্র্নিমাণ করেছেন। অবশিষ্ট ভবনগুলো (৩টি) মালিকপক্ষ ভেঙে ফেলেছেন।’ চট্টগ্রাম-৪ আসনের সাংসদ দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীর শান্তিনগর থেকে মাওয়া রোড (ঝিলমিল) পর্যন্ত একটি ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনা রাজউকের আছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি)এটি নির্মিত হবে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রকল্পটি অনুমোদন করে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে এ বছরের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।’
ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বর্তমানে দেশে সরকারি এবং বেসরকারি সব পর্যায়ের ২৫ ক্যাটাগরির মোট এক লাখ ৩৩ হাজার ৯০১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৯৩টি। এই বিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই কোটি ৯ লাখ ১৯ হাজার ২০১।
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের মো. নজরুল ইসলাম বাবুর অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ করতে শতভাগ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। শতভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘মিড ডে মিল’ চালু করা হয়েছে। মা সমাবেশ, হোম ভিজিট, অভিভাবক সমাবেশ জোরদার করা হয়েছে।এ ছাড়া শিক্ষক-কর্মকর্তা, ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক এবং স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ ও সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে।
নওগাঁ-১ আসনের সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদারের এক প্রশ্নের সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, সরকারিভাবে শান্তি নিবাস (বৃদ্ধাশ্রম) স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই।তিনি জানান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সমাজসেবা অধিদফতরের আওতায় বর্তমানে দেশে ছয়টি শান্তি নিবাস (বৃদ্ধাশ্রম) রয়েছে। এগুলোর অবস্থান ঢাকা (ফরিদপুর), খুলনা (বাগেরহাট), চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী জেলায়। এর প্রতিটিতে ৫০ জন করে মোট ৩০০ জন প্রবীণ ব্যক্তির থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া, সমাজসেবা অধিদফতরের আওতায় দেশের ৮৫টি শিশু পরিবারের প্রতিটিতে ১০ জন করে প্রবীণ ব্যক্তির থাকার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।