ফের বিক্ষোভে পোশাক শ্রমিকরা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আতঙ্ক

ফের বিক্ষোভে পোশাক শ্রমিকরা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আতঙ্ক

পাথেয় রিপোর্ট : ফের রাজধানীর কয়েকটি স্থানে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা সড়কে বিক্ষোভে নেমেছে। ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। সরকারের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেয়া হলেও পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ থেমে নেই।

আজ শনিবার (১২ জানুয়ারি) ভাষানটেকের কয়েকটি পোষাক কারাখানার শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। এতে ভাষানটেক সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।এ সময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়। ফলে পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এছাড়া শেওড়াপাড়ার কয়েকটি কারখানার শ্রমিরাও সড়কে নেমে আসে। তাদের অবস্থানের কারণে রোকেয়া সরণিতে গাড়ি চলাচল বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। মিরপুর থানার ডিউটি অফিসার এসআই রোকসান জানান, শ্রমিকদের বিক্ষোভের ওখানে পুলিশ রয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছে।

পোশাক শ্রমিকরা বলছেন, নতুন বেতন স্কেল হওয়া সত্ত্বেও তাদের অধিকাংশের বেতন তেমন বাড়েনি। তাদের অভিযোগ, মালিকেরা বর্ধিত কাঠামো নিয়ে নানা ধরনের কারসাজি করছেন। গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কার্যকরী সভাপতি কাজি মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলছেন, শ্রমিকদের গ্রেড নামিয়ে বেতন কম দেয়ার চেষ্টাও চলছে।

গত সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে আট হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে মজুরি বোর্ডের সভায় ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়।

শ্রমিক প্রতিনিধিরা ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার টাকা করার দাবি জানাচ্ছিলেন। অন্যদিকে মালিকপক্ষ ৭ হাজারের বেশি দিতে রাজী হচ্ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে মালিকরা নূন্যতম মজুরি ৮০০০ টাকা নির্ধারণে রাজি হয়।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে নতুন মজুরী কার্যকরের কথা থাকলেও মালিকপক্ষ সেটি বাস্তবায়নে গড়িমসি করছে বলে শ্রমিকদের অভিযোগ। প্রাপ্য বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা সড়কে নেমে আসার পর নতুন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে মজুরি কাঠামো পুনর্মূল্যায়নে একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটি গত বৃহস্পতিবার প্রথম সভাও করেছে।

পোশাক শ্রমিকদের জন্য গত বছর ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামোর সাতটি গ্রেডের মধ্যে যে তিনটি গ্রেড নিয়ে আপত্তি এসেছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে সমন্বয়ের আশ্বাস দিয়েছেন কমিটির প্রধান শ্রম সচিব আফরোজা খান। শ্রমিকদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, কোনো শ্রমিকের বেতনই কমবে না। মজুরি কাঠামোর অসঙ্গতি দূর করার আশ্বাস সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হলেও পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ থেমে নেই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *