ক্রীড়া ডেস্ক : ২০২০ সালের বছরের মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এশিয়া একাদশ ও বিশ্ব একাদশের মধ্যকার দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করতে চলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। এরই মধ্যে এ সিরিজের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও দিয়েছে আইসিসি।
এরকম অবস্থার মাঝে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় পাকিস্তানে টেস্ট খেলতে চায় না বাংলাদেশের খেলোয়াড়গণ। পাকিস্তান সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে রাজি হলেও টেস্টে না খেলার অনীহার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে এই প্রথম স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) মিরপুর স্টেডিয়ামে নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘পাকিস্তানে গিয়ে টেস্ট খেলার কোনও সুযোগ এই মুহূর্তে নেই। আশা করি তারা (পিসিবি) আমাদের সুবিধা-অসুবিধা বুঝবে।’
আগে থাকতেই বাংলাদেশের বিদেশি কোচিং স্টাফ নিরাপত্তাজনিত কারণে এই সফর নিয়ে অনাগ্রহী ছিলেন। তারা পাকিস্তানে না যেতে বিসিবির কাছে আবেদনও করেছিলেন।
নাজমুল হাসান, ‘খেলোয়াড়দের অনেকেই যেতে চাইছে না। তাদের সমস্যা না থাকলেও পরিবারের সমস্যা আছে। সব মিলিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা করার ব্যাপার আছে। তাই সেখানে টেস্ট খেলতে যাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না।’বাংলাদেশের এমন ঘোষণার প্রেক্ষিতে পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি মন্তব্য করেছেন ‘এই মুহূর্তে পাকিস্তানের চেয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছে ভারত।’
এছাড়া বিসিসিআইয়ের নতুন পরিকল্পনা চার জাতির সুপার সিরিজ নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার রশিদ লতিফ। তিনি বলেছেন, ‘তিন মোড়ল তত্ত্বের মতো ব্যর্থ হবে এই সিরিজ।’
ইতোমধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড দাবি করেছে, বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে আমন্ত্রণ করা হবে না। বিসিসিআইয়ের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়েশ জর্জ বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে জানিয়েছেন, ‘আমরা যেটা জানতে পেরেছি, এশিয়া একাদশে কোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটার থাকবে না। এটাই বার্তা, তাই দুই দেশের একত্রে আসার সম্ভাবনা বা দলে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
জয়েশ জর্জ আরো জানিয়েছেন, ‘এশিয়া একাদশে কোন ৫ ক্রিকেটার খেলবেন এটা নির্ধারণ করবেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী।’