পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে সারা দেশে পাঁচটি অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া ৮টি দফতরে পাঠানো হয়েছে চিঠি।
রাজশাহী বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদান, মালিকানা পরিবর্তন ও নবায়নসহ বিভিন্ন কাজে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে দুদক। সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহীর সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। দুদক টিম গোপনে এ বিষয়ে অফিসের সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে এবং পরবর্তীতে অফিসের কর্মকর্তা/কর্মচারীসহ সেবাগ্রহীতাদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
একজন ভুক্তভোগী জানান, ‘তিনি বিগত ৬ ছয় বছর যাবৎ একটি মোটরসাইকেলের মালিকানা পরিবর্তনের জন্য ঘুরছেন। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালককে অনুরোধ করা হলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং আগামী ৫ দিনের মধ্যে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।’ সাধারণ মানুষ দুদকের এমন অভিযানকে স্বাগত জানান এবং কমিশনের সাফল্য কামনা করেন।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরীক্ষার ফল টেম্পারিং এবং বেআইনিভাবে রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর বিক্রি করে শিক্ষার্থীদের ক্লাস না করেই উত্তীর্ণ করানোর অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সরেজমিনে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় টিম। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে তদন্ত করা হয়েছে মর্মে টিম জানতে পারে। তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত চেয়ে কমিশনের নিকট প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে টিম।
এছাড়াও যশোরের শার্শায় কৃষকদের নিকট থেকে ধান ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মবহির্ভূতভাবে আবাসন বরাদ্দের অভিযোগে এবং পেনশনের টাকা প্রদানে ঘুষ দাবি ও অনিয়মের অভিযোগে যথাক্রমে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, যশোর এবং সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুমিল্লা থেকে তিনটি পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়েছে।