বৃষ্টি, বন্যা এবং আল্লাহর রহমতের ছায়া

বৃষ্টি, বন্যা এবং আল্লাহর রহমতের ছায়া

মানজুম উমায়ের ● বৃষ্টি আল্লাহর রহমত। বৃষ্টিতে পৃথিবী শান্ত হয়ে যায়। শীতল হয়ে যায়। পৃথিবীতে কত্ত প্রভাবশালী রাজরানী এসেছেন। প্রভাব প্রতিপত্তি, নিজেদের শৌর্য বীর্য উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু সারা শহরকে একসঙ্গে ধুয়ে মুছে পরিচ্ছন্ন করে দেয়ার ক্ষমতা দেখাতে পারেননি কেউ। সেটা একজনই করতে পারেন। মহান আল্লাহ তাআলা। তিনি চাইলেই পারেন সারা শহর নয়, পুরো দুনিয়া একসঙ্গে ধুয়ে দিতে। পরিষ্কার করে দিতে।

মুরুব্বীরা বলতেন, একবার দেশে বন্যা হলে পরের বার ভালো ফসল ফলে। উর্বরতা বাড়ে। পানি চুষে চুষে মাটি প্রকৃত মাটি হয়ে ওঠে। মাছও বেড়ে যায়। সুফল আছে। তবে অতিরিক্ত পানি হওয়ার কারণে দুর্ভোগ বেড়ে যায়। মহামারিও কোথাও কোথাও দেখা দেয়। সচেতনতাবৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ইদানীং মহামারির ভয়াবহতা কমেছে বটে। তবে রোগবালাই তো আছেই। জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজন বন্যাপ্লাবিত মানুষের পুনর্বাসন।

বৃষ্টি আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত রহমত। আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণের মাধ্যমেই আল্লাহ তাআলা বান্দার কল্যাণ এবং রিজিকের ব্যবস্থা করেন। বৃষ্টি বর্ষণের উদ্দেশ্য ও উপকারিতা কুরআনের বিভিন্ন সূরায় নাজিল হয়েছে। বৃষ্টি বর্ষণের বিষয়ে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেছেন, ‘আমার বান্দারা যদি আমার বিধান যথাযথ মেনে চলত, তবে আমি তাদের রাতের বেলায় বৃষ্টি দিতাম আর সকাল বেলায় সূর্য (আলো) দিতাম এবং কখনও তাদের বজ্রপাতের আওয়াজ শুনাতাম না।’ (মুসনাদে আহমদ)

আবার প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই আকাশে মেঘ ও বিদ্যুৎ চমকানো দেখলে এবং গর্জন শুনলে পেরেশান হয়ে যেতেন। মেঘের গর্জনের সময় তিনি কথাবার্তা ছেড়ে দিতেন। মেঘের ভয়াবহতা থেকে হেফাজত থাকতে তাসবিহ এবং দোয়া পাঠ করতেন। বৃষ্টি বন্ধে প্রিয়নবী এ দোয়া পড়তেন- আল্লাহুম্মা হাওয়াইলানা ওয়া লা আলাইনা; আল্লাহুম্মা আলাল আকামি ওয়াল ঝিবালি ওয়াল উঝামি ওয়াজ জিরাবি ওয়াল আওদিয়াতি ওয়া মানাবিতিশ শাজারি।
অর্থাৎ : হে আল্লাহ! আমাদের আশে-পাশে বৃষ্টি বর্ষণ কর। আমাদের ওপরে করিও না। হে আল্লাহ! টিলা, পাহাড়, উচ্চভূমি, মালভূমি, উপত্যকা এবং বনাঞ্চলে বৃষ্টি বর্ষণ কর।’ (বুখারি)

কুরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আমি জলধর মেঘমালা থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাত করি, যাতে তা দ্বারা উৎপন্ন করি শস্য, উদ্ভিদ ও পাতাঘন উদ্যান।’ (সূরা নাবা : আয়াত ১৪-১৬)
আল্লাহকে ভালোবেসে যে বান্দা এগিয়ে যায়, আত্মনিমগ্ন হয় ইবাদতে সেসব বান্দাদের জন্য মহান আল্লাহ তাআলার ঘোষণা তো দারুণ। ‘আমি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে থাকি পরিমাণ মত অতঃপর আমি জমিনে সংরক্ষণ করি এবং আমি তা অপসারণও করতে সক্ষম। অতঃপর আমি তা দ্বারা তোমাদের জন্যে খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান সৃষ্টি করেছি। তোমাদের জন্যে এতে প্রচুর ফল আছে এবং তোমরা তা থেকে আহার করে থাক। এবং ঐ বৃক্ষ সৃষ্টি করেছি, যা সিনাই পর্বতে জন্মায় এবং আহারকারীদের জন্যে তৈল ও ব্যঞ্জন উৎপন্ন করে।’ (সূরা মুমিনুন : আয়াত ১৮-২০)

বৃষ্টিবর্ষণকে পবিত্রতা অর্জনের উপযুক্ত জল হিসেবে বর্ণনা করেছেন মহান আল্লাহ। তিনি বলেন, ‘তিনিই স্বীয় রহমতের প্রাক্কালে বাতাসকে সুসংবাদবাহীরূপে প্রেরণ করেন। এবং আমি আকাশ থেকে পবিত্রতা অর্জনের জন্যে পানি বর্ষণ করি। তা দ্বারা মৃত ভূভাগকে সঞ্জীবিত করার জন্যে এবং আমার সৃষ্ট জীবজন্তু ও অনেক মানুষের তৃষ্ণা নিবারণের জন্যে। এবং আমি তা তাদের মধ্যে বিভিন্নভাবে বিতরণ করি, যাতে তারা স্মরণ করে। কিন্তু অধিকাংশ লোক অকৃতজ্ঞতা ছাড়া কিছুই করে না। (সূরা ফুরকান : আয়াত ৪৮-৫০)
বৃষ্টি হলে জমিন উর্বর হয়। উর্বরতা বাড়লে ফলফসলও বেশি হয়। সামাজিকভাবে চলার জন্য একটা বড় রকমের পাথেয় এভাবে মানুষ অর্জন করে থাকে। তাও কুরআনে ওঠে এসেছে চমৎকারভাবে। ‘তিনিই আল্লাহ, যিনি নভোম-ল ও ভূম-ল সৃজন করেছেন এবং আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে অতঃপর তা দ্বারা তোমাদের জন্যে ফলের রিজিক উৎপন্ন করেছেন এবং নৌকাকে তোমাদের আজ্ঞাবহ করেছেন, যাতে তাঁর আদেশে সমুদ্রে চলা ফেরা করে এবং নদ-নদীকে তোমাদের সেবায় নিয়োজিত করেছেন।’ (সূরা ইবরাহিম : আয়াত ৩২)

পৃথিবীকে সজিব করে দিতে মহান আল্লাহর রয়েছে অশেষ কৃপা। তারই উসীলায় রঙ বদলে যায়। উৎপন্ন হয় ফলফুল ও প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্য। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন অতঃপর আমি এর দ্বারা সর্বপ্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি, অতঃপর আমি এ থেকে সবুজ ফসল নির্গত করেছি, যা থেকে যুগ্ম বীজ উৎপন্ন করি। খেজুরের কাঁদি থেকে গুচ্ছ বের করি, যা নুয়ে থাকে এবং আঙ্গুরের বাগান, যয়তুন, আনার পরস্পর সাদৃশ্যযুক্ত এবং সাদৃশ্যহীন। বিভিন্ন গাছের ফলের প্রতি লক্ষ্য কর যখন সেগুলো ফলন্ত হয় এবং তার পরিপক্কতার প্রতি লক্ষ্য কর। নিশ্চয় এ গুলোতে নিদর্শন রয়েছে ঈমানদারদের জন্যে।’ (সুূরা আনআ’ম : আয়াত ৯৯)

আমরা পাহাড়ের কান্না দেখি, ঝর্না দেখি, সাগরের উত্তাল ঢেউ দেখি- দেখি প্রকৃতির গতিপ্রকৃতি। বুদ্ধিমানদের জন্য বিশেষ উপদেশ বর্ণনা দিয়ে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন, অতঃপর সে পানি জমিনের ঝর্ণাসমূহে প্রবাহিত করেছেন, এরপর তা দ্বারা বিভিন্ন রঙের ফসল উৎপন্ন করেন, অতঃপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তোমরা তা পীতবর্ণ দেখতে পাও। এরপর আল্লাহ তাকে খড়-কুটায় পরিণত করে দেন। নিশ্চয় এতে বুদ্ধিমানদের জন্যে উপদেশ রয়েছে।’ (সূরা যুমার : আয়াত ২১)

মানুষ কোথা থেকে পিপাসা নিবারণ করবে। কোথা থেকে তৃষ্ণা মেটাবে- সেটাও আল্লাহ তাআলা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তিনি তোমাদের জন্যে আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন। এই পানি থেকে তোমরা পান কর এবং এ থেকেই উদ্ভিদ উৎপন্ন হয়, যাতে তোমরা পশুচারণ কর। এ পানি দ্বারা তোমাদের জন্যে উৎপাদন করেন ফসল, যয়তুন, খেজুর, আঙ্গুর ও সর্বপ্রকার ফল। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীলদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।’ (সূরা নাহল : আয়াত ১০-১১)

আমরা মানুষ হতে পারিনি। সেই বুদ্ধিবিবেক আমাদের নেই। বিবেককে কাজে লাগাতে পারি না। প্রকৃতঅর্থে আল্লাহই তো সঞ্জীবিত করেন এই জমিন। আল্লাহ বলেন, ‘যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কে আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করে, অতঃপর তা দ্বারা মাটিকে উহার মৃত হওয়ার পর সঞ্জীবিত করে? তবে তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। বলুন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা বোঝে না।’ (সুরা আনকাবুত : আয়াত ৬৩)

কুরআন যেনো পূর্বাপর সবসময়ের এক জীবন্ত ইতিহাস। আগের কথা যেমন বলেছে। ভবিষ্যতের নানা অনুষঙ্গের কথাও ঠিক ঠিক উপস্থাপন করেছে। আল্লাহ বলেন, ‘তিনি খুঁটি ব্যতীত আকাশম-লী সৃষ্টি করেছেন; তোমরা তা দেখছ। তিনি পৃথিবীতে স্থাপন করেছেন পর্বতমালা, যাতে পৃথিবী তোমাদেরকে নিয়ে ঢলে না পড়ে এবং এতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সর্বপ্রকার জন্তু। আমি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছি, অতঃপর তাতে উদগত করেছি সর্বপ্রকার কল্যাণকর উদ্ভিদরাজি।’ (সুরা লোকমান : আয়াত ১০)

দৃষ্টান্তের সব নমুনাই মানুষের এগিয়ে চলার পাথেয় সংগ্রহ করার জন্য। আল্লাহ বলেন, ‘তিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন। অতঃপর স্রোতধারা প্রবাহিত হতে থাকে নিজ নিজ পরিমাণ অনুযায়ী। অতঃপর ¯্রােতধারা স্ফীত ফেনারাশি উপরে নিয়ে আসে। এবং অলঙ্কার অথবা তৈজসপত্রের জন্যে যে বস্তুকে আগুনে উত্তপ্ত করে, তাতেও তেমনি ফেনারাশি থাকে। এমনিভাবে আল্লাহ সত্য ও অসত্যের দৃষ্টান্ত প্রদান করেন। অতএব, ফেনা তো শুকিয়ে খতম হয়ে যায় এবং যা মানুষের উপকারে আসে, তা জমিতে অবশিষ্ট থাকে। আল্লাহ এমনিভাবে দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করেন।’ (সূরা রাদ : আয়াত ১৭)

অনন্য নিদর্শন বর্ণনা করে আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন, তদ্বারা জমিনকে তার মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেছেন। নিশ্চয় এতে তাদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে, যারা শ্রবণ করে।’ (সূরা নাহল : আয়াত ৬৫)

এই যে জমিন দেখতে পাচ্ছি, তাতো একটা বিছানাই। ঘাসজমিনে পার্কে কতজনকে শুয়ে থাকতে দেখি। এটা অন্যরকম এক প্রশান্তির দৃশ্য। এই জমিনকে আল্লাহও বিছানা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘যে পবিত্রসত্তা তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন, আর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তোমাদের জন্য ফল-ফসল উৎপাদন করেছেন তোমাদের খাদ্য হিসাবে। অতএব, আল্লাহর সাথে তোমরা অন্য কাকেও সমকক্ষ করো না। বস্তুতঃ এসব তোমরা জান।’ (সূরা বাকারা : আয়াত ২২)
আজকে পানি আমরা অপচয় করি। সৎকর্ম করতে গিয়েও অপচয়। অজু, গোসল বা পবিত্রতা অর্জনের সবক্ষেত্রেই ব্যবহার করি পানি। কিন্তু অপচয়ের মাত্রাটাও বেশি। আর কৃতজ্ঞতার কোনো বালাই নেই আমাদের মধ্যে। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর পৃথিবী সবুজ-শ্যামল হয়ে উঠে। নিশ্চয় আল্লাহ সুক্ষ্মদর্শী, সর্ববিষয়ে খবরদার।’ (সূরা হজ : আয়াত ৬৩)

‘তুমি কি দেখনি আল্লাহ আকাশ থেকে বৃষ্টিবর্ষণ করেন, অতঃপর তা দ্বারা আমি বিভিন্ন বর্ণের ফল-মূল উদগত করি। পর্বতসমূহের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন বর্ণের গিরিপথ-সাদা, লাল ও নিকষ কালো কৃষ্ণ।’ (সুূরা ফাতির : আয়াত ২৭)

‘আমি আকাশ থেকে কল্যাণময় বৃষ্টি বর্ষণ করি এবং তা দ্বারা বাগান ও শস্য উদগত করি, যেগুলোর ফসল আহরণ করা হয়। এবং লম্বমান খেজুর গাছ, যাতে আছে গুচ্ছ গুচ্ছ খেজুর। বান্দাদের জীবিকাস্বরূপ এবং বৃষ্টি দ্বারা আমি মৃত জনপদকে সঞ্জীবিত করি। এমনিভাবে পুনরুত্থান ঘটবে।’ (সুূরা কাফ : আয়াত ৯-১১)

মানুষ নয় কেবল পৃথিবীর সবকিছুই আল্লাহর সৃষ্টি। আর সবকিছুই তিনিই ধ্বংস করবেন। মানুষ সামান্যই উপকার বা ধ্বংস করতে পারে। কখনও তা-ও পারে না। আল্লাহর দেয়া শক্তি যদি ম্লান হয়ে যায় তাহলে মানুষের আর কিছুই করার থাকে না। আল্লাহ বলেন, ‘তাঁর আরও নিদর্শন তিনি তোমাদেরকে দেখান বিদ্যুৎ, ভয় ও ভরসার জন্যে এবং আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা দ্বারা ভূমির মৃত্যুর পর তাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। নিশ্চয় এতে বুদ্ধিমান লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।’ (সূরা রূম : আয়াত ২৪)

‘তখন আমি খুলে দিলাম আকাশের দরজা প্রবল বারিবর্ষণের মাধ্যমে। এবং ভুমি থেকে প্রবাহিত করলাম প্র¯্রবণ। অতঃপর সব পানি মিলিত হল এক পরিকল্পিত কাজে।‘ (সূরা ক্বামার : আয়াত ১১-১২)

সবসময় আল্লাহ তাআলা এই প্রকৃতির মাধ্যমেই বার বার সতর্ক করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘বল তো কে সৃষ্টি করেছেন নভোম-ল ও ভূম-ল এবং আকাশ থেকে তোমাদের জন্যে বর্ষণ করেছেন পানি; অতঃপর তা দ্বারা আমি মনোরম বাগান সৃষ্টি করেছি। তার বৃক্ষাদি উৎপন্ন করার শক্তিই তোমাদের নেই। অতএব, আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য আছে কি? বরং তারা সত্যবিচ্যুত সম্প্রদায়।’ (সুরা নমল : আয়াত ৬০)

বৃষ্টি আল্লাহর নেয়ামত। যদি কখনো তা মানুষের কোনো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়; তাহলে বুঝতে হবে- এটা মানুষের গোনাহের ফল। কারণ আল্লাহ এ দুনিয়াতে মানুষের জন্য দয়াময়। যারা তাঁকে স্বীকার করেন তাদেরকে যেমন তিনি রিজিক দেন, দুনিয়ার যাবতীয় কল্যাণ দান করেন। ঠিক তেমনি যারা তাঁকে অস্বীকার করে, তাঁর অবাধ্য হয় তাদেরকেও তিনি এ সব নেয়ামত দান করেন।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *