ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বন্দুকযুদ্ধের নামে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে চারটির পর আরও একটি অভিযোগ উঠেছে। কক্সবাজারের সিনিয়র বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-৩) মো. হেলালের আদালতে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় আবদুল জলিল নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার এই অভিযোগ আনেন তার স্ত্রী সেনোয়ারা বেগম। বাদীর আইনজীবী মনিরুল ইসলাম বলেন, আবদুল জলিলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে প্রদীপ কুমার দাশসহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আবদুল জলিলের ময়নাতদন্ত হয়েছে কিনা, এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছে আাদলত।
বাদীর অভিযোগ, ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর আবদুল জলিলকে কক্সবাজার শহরের হাসপাতাল এলাকা থেকে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়–য়া আটক করেন। এরপর টানা আট মাস তাকে টেকনাফ থানায় আটকে রাখা হয়। তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হলেও ২০২০ সালে ৭ জুলাই বন্দুকযুদ্ধের নামে তাকে হত্যা করা হয়। আবদুল জলিল পেশায় সিএনজি চালক ছিলেন বলে তিনি জানান।
এই নিয়ে প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে বন্দুকযুদ্ধের নামে মোট পাঁচটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড ঘটানোর অভিযোগ উঠল।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হন। এ ঘটনা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। এর জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সরাসরি দায়ী করেন সাবেক সেনা কর্মকর্তারা।
এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পুলিশ সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। স্পর্শকাতর এ ঘটনায় নয়জন পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে নিহতের বোনের করা মামলায় গ্রেপ্তার রয়েছেন ওসি প্রদীপ।
১৮ অগাস্ট কক্সবাজারের সিনিয়র বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-২) মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে গুল চেহারা নামে এক নারী তার ছেলেকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যার অভিযোগে দেন। ২৭ জুলাই বেলা সোয়া ২টায় কক্সবাজারের সিনিয়র বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-৩) মো. হেলালের আদালতে মাহামুদুল হক নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ দেন তার ভাই নুরুল হোছাইন। ২৪ জুলাই টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বদিউল আলম নামে এক ব্যক্তি আরেকটি অভিযোগ দেন। তিনি তার ভাই মো. আলম বাবুলকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যার অভিযোগ আনেন।