পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : মিয়ানমারের জনগণের ইচ্ছায় এবং দেশটির সার্বভৌমত্বের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখে চীন সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী, জানিয়েছেন চীনের স্টেস্ট কাউন্সিলর ওয়াং ই। রোববার বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মিয়ানমার সম্পর্কে চীনের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশটিতে চলমান উত্তেজনা নিরসনে চীন গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে চায়।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জোর গুঞ্জন, মিয়ানমারে সেনাঅভ্যুত্থানের পেছনে চীনের হাত রয়েছে। এ গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, সেনাভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ‘চীন নিশ্চিতভাবেই এমনটা দেখতে চায়নি’।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতার দখল নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। পশ্চিমা দেশগুলো সেনাঅভ্যুত্থানের কঠোর নিন্দা জানিয়ে দ্রুত অং সান সু চিসহ তার দলের আটক নেতাদের মুক্তি এবং বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বলেছে। নতুবা মিয়ানমারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু চীন সেনাঅভ্যুত্থানের বিষয়ে কিছু বলছে না। বরং তারা প্রতিবেশী দেশের স্থিতিশীলতাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে সেটা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার উপর জোর দিচ্ছে।
সেনাঅভ্যুত্থানের পরপরই এর বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সাধারণ মানুষ গণবিক্ষোভে শুরু করেছে। টানা ওই গণবিক্ষোভে এরইমধ্যে অর্ধশতের বেশি সাধারণ মানুষের প্রাণ গেছে।
বিক্ষোভকারী সাধারণ জনতার কাছ থেকে চীন সরকারের এই বক্তব্যের কোন প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।