রাজাকার ও তাদের দোসরদের প্রত্যাখ্যানের আহ্বান

রাজাকার ও তাদের দোসরদের প্রত্যাখ্যানের আহ্বান

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক চার মূলনীতি, বাহাত্তরের সংবিধান সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের চিরতরে প্রত্যাখান করতে হবে। সেইসঙ্গে যারা স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছে, তাদেরও বয়কট করা সময়ের অন্যতম দাবি হয়ে উঠেছে।

বুধবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর রহমানিয়া হোটেল অডিটোরিয়ামে আওয়ামী ওলামা লীগ আয়োজিত ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ও মুজিব শতবর্ষ ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে ‘কুরআন তেলওয়াত ও দোয়া মাহফিল’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ) সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়।

কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, ইতিহাস পর্যালোচনা করলে এটাই প্রমাণ হয়, জিয়া-মোশতাক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্যকারী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিকল্পিতভাবে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার জন্যই মেজর জিয়াউর রহমান জাতির পিতাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে যা পরবর্তীতে খুনীদের বিদেশি টেলিভিশন স্বাক্ষাৎকারেও প্রতীয়মান হয়। তাই জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকীতে আমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে, স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের সাথে বিএনপি নামক পাকিস্তানপন্থীদেরও প্রত্যাখ্যান করে একটি উদার ও উন্নয়নশীল বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবীর চৌধুরী তন্ময় আরো বলেন, বাহাত্তরের সংবিধান, জাতীয় চার মূলনীতি; ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর দুই লক্ষেরও বেশি সম্ভ্রম বিনাশ নারী মুক্তিযোদ্ধার অর্জিত ফসল। এটা নিয়ে রাজনীতি না করে বরং তা বাস্তবায়ন করতে হবে। বর্তমান সরকারের উচিত, দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণকে সাথে নিয়ে রাজাকার ও তাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপির বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষে বাহাত্তরের সংবিধানের পথে আগিয়ে চলা।

কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, আজ আপনারা যারা আলেম সমাজ আছেন, আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। কথিত ওয়াজ মাহফিলের নামে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ আর নারীর প্রতি যে বিষেদাগার ছড়ানো হচ্ছে, তাদের ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে। ইসলামের সঠিক বাণী পৌঁছে দিতে আপনাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাজাকারদের সাথে ব্যবসায়িক, পারিবারিক, রাজনৈতিকসহ সকল বন্ধন চিরতরের জন্য ছিন্ন করতে হবে এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদেরও প্রত্যাখান করে উন্নয়নশীল বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে আপনাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

আলোচনা সভায় মাওলানা আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং মাওলানা আবদুল আলীম আজাদীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শায়খ মাওলানা আলমগীর হোসাইন, আল্লামা রবিউল আলম সিদ্দিকী অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *