পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সারাবিশ্বে শিশুদের যোদ্ধা ও আত্মঘাতী হামলাকারী হিসেবে ব্যবহার বাড়ছে। গত বছর বিশ্বজুড়ে সাড়ে আট হাজারের বেশি শিশুকে যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। যাদের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত দুই হাজার সাত’শ শিশু। আহত হয়েছে আরও পাঁচ হাজার ৭৪৮ জন।
সোমবার যুদ্ধ ও সংঘাতে শিশুদের ব্যবহার নিয়ে জাতিসংঘের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। যুদ্ধে শিশুদের ব্যবহার ছাড়াও যৌন নির্যাতন, অপহরণ ও ত্রাণ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টিও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
গত বছর সোমালিয়া, গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো, আফগানিস্তান, সিরিয়া ও ইয়েমেনে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে শিশুরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলা চালানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের। একই সঙ্গে হামলার লক্ষ্যবস্তুতেও রয়েছে শিশুরা। কারণ গত বছর বেশিরভাগ হামলায় নিশানা ছিল বসতবাড়ি, স্কুল ও খেলার মাঠ। অনেক শিশু জঙ্গিদের হাত থেকে মুক্তির পর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে ফের ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
এ ছাড়া যুদ্ধের ফলে ত্রাণকর্মীরা পৌঁছাতে না পারায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সঙ্কট। যাতে বেশি ভুক্তভোগী শিশুরা। অনেকে আক্রান্ত হয়েছে অপুষ্টি ও নানান রোগে। সারাবিশ্বে ১৯ হাজার ৩৭৯ শিশুর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
এদিকে সহিংসতা থেকে বাঁচতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বহু রোহিঙ্গা। যাদের একটা বড় অংশই শিশু, এদের বয়স ১৮ বছরের নিচে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর মিয়ানমার, সোমালিয়া ও সিরিয়ায় যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়োগ করা হয়েছিল প্রায় সাত হাজার শিশুকে।
সূত্র: এডিটিভি, আল জাজিরা