পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : খুলনা প্রতিনিধিখুলনার সরকারি-বেসরকারি তিন হাসপাতালে শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জন মারা গেছেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করোনা ইউনিট মুখপাত্র ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, ২ জুলাই সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ২০৪ জন ভর্তি হন। রেড জোনে ১১০ জন, ইয়োলো জোনে ৫৪, আইসিইউতে ২০ ও এইচডিইউতে ২০ জন রয়েছেন। নতুন ভর্তি হয়েছেন ৩৩ জন। ছাড়পত্র নিয়েছেন ২৭ জন। আর হাসপাতালে আট জন মারা গেছেন। এর মধ্যে সাত জনই করোনা পজিটিভ ছিলেন।
খুলনার আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিট মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, মোট ভর্তি ৬৬ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। পুরুষ ৩৩ ও মহিলা ৩৩ জন। মারা গেছেন দুই জন।
গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. গাজী মিজানুর রহমান বলেন, ২ জুলাই সকাল ৯টা পর্যন্ত হাসপাতালে ১০৯ জন ভর্তি ছিলেন। নতুন ভর্তি ৩৫ জন। ছাড়পত্র নিয়েছেন ১৬ জন। আইসিইউতে আছে ৯ জন ও এইচডিইউতে আছে ১০ জন। আর মারা গেছেন একজন।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে ৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৭২.৫৩ শতাংশ। বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য জানা গেছে। খুবি’র পিসিআর মেশিনে বৃহস্পতিবার ৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৬৬ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনার ৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া বাগেরহাটের পাঁচ জন, যশোর ও সাতক্ষীরার দুই জন করে রোগী রয়েছে।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তিকৃত যেসব রোগীর করোনা পরীক্ষা না করলে ছাড়পত্র দেওয়া সম্ভব হবে না তারা পরীক্ষায় প্রাধান্য পেয়েছেন। শনিবার পর্যন্ত খুমেক ল্যাব জীবাণুমুক্ত করা হবে। ফলে এই তিন দিন নিয়মিত পরীক্ষা বন্ধ থাকছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।